শনিবার নয়াদিল্লিতে G20 শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে দেশের নাম 'ভারত' হিসাবে প্রদর্শিত হল। শীর্ষ সম্মেলনে, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে 'ভারত'-এর প্রতিনিধিত্বকারী নেতা হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে। ‘ভারত’ এবং ‘ইন্ডিয়া’, দেশের দুই নাম নিয়ে ক’দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি-২০’র সম্মেলনে (G20 Summit 2023) নিজেকে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে হাজির করলেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আসনের সামনে টেবিলে দেশের নাম হিসাবে লেখা আছে BHARAT। অর্থাৎ স্বদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী দেশের (Prime Minister of Bharat) নাম সরকারিভাবে ভারত বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
সরকার দেশের নাম হিসাবে ইন্ডিয়া ব্যবহার বন্ধ করে দিতে চলেছে কী না, তা নিয়েই এখন কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে তা মোটেই অসম্ভব নয়। সংবিধান সংশোধন না করেই তা সম্ভব। অর্থাৎ সংবিধানে ‘ইন্ডিয়া’ নামটি বহাল থাকবে। ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’ বাক্যটি অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু সরকারিভাবে ‘ভারত’ নামটিই ব্যবহার করবে সরকার। দু’দিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছে একটি দরখাস্ত জমা দিলেই তারা দেশের নাম বদলে দেবে। গত বছরই তুর্কি হয়েছে তুর্কিয়ে।
ভারত ও ইন্ডিয়া, দেশের এই দুই নাম নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত জি-২০ সম্মেলন ঘিরেই হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অতিথিদের যে নৈশভোজে যোগদানের জন্য যে নিমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন তাতে নিজেকে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত বলে উল্লেখ করেন। এরপর ইন্দোনেশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদীও নিজেকে প্রাইম মিনিস্টান অফ ভারত বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বিদেশেও একাধিক অনুষ্ঠানে হিন্দিতে ভাষণ দিয়েছেন। ফলে তাঁর ভাষণে ভারত কথাটি নতুন নয়।
শুক্রবারই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ভারত ও ইন্ডিয়া বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। বেলজিয়াম সফররত রাহুল সে দেশের রাজধানী ব্রাসেলসে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, দেশের নাম নিয়ে বিতর্কের সূচনা করা হয়েছে মৌলিক সমস্যা নিয়ে দৃষ্টি ঘোরাতে। বিশেষ করে আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছে না সরকার। তাই সরকার ভয় পেয়েছে।