'সিস্টেমেটিক ফেলিওর নয়...' NEET প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের

NEET পেপার ফাঁস মামলায় চূড়ান্ত রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সমস্ত পক্ষের যুক্তি শোনার পর আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এটি কোনও পদ্ধতিগত ব্যর্থতা নয়। পেপার ফাঁসের প্রভাব শুধুমাত্র হাজারিবাগ ও পাটনায় সীমাবদ্ধ ছিল। আদালত কাঠামোগত ঘাটতি বা সিস্টেমেটিক ফেরিওরের বিষয়ে উল্লেখ করেছে, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং পেপার ফাঁস রুখতে SOP তৈরি করা সরকার এবং NTA-এর দায়িত্ব।

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, যদি কারও অভিযোগের সুরাহা না হয়, তবে তিনি হাইকোর্টে যেতে পারেন। আদালত আরও বলেছে যে, পেপার ফাঁসের ঘটনা বড় পরিসরে হয়নি এবং NTA-কে ভবিষ্যতে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই কারণে NEET-এর ফের পরীক্ষার দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

NTA পরীক্ষা পরিচালনার দিকে নজর দেবে
শুনানির সময় আদালত NTA-কে পরীক্ষা পরিচালনার পদ্ধতি পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত বলেছে, এজেন্সিকে প্রশ্নপত্র সেট করার সময় থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত কঠোর তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্নপত্রের ধরণ ইত্যাদি পরীক্ষা করার জন্য একটি SOP তৈরি করা উচিত। পেপার নিয়ে যাওয়ার জন্য, খোলা ই-রিকশার পরিবর্তে রিয়েল টাইম লকযুক্ত বন্ধ যানবাহন ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া গোপনীয়তা আইনও মাথায় রাখতে হবে। যাতে কোনও অনিয়ম হলে তা ধরা যায়। ইলেকট্রনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেকর্ডিং এবং সাইবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ডেটা সুরক্ষিত থাকে।

EOU এবং CBI অনেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে
CBI এবং EOU NEET পেপার ফাঁস মামলার তদন্ত করেছে। এই তদন্তের সময় অনেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছিল যে ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ এবং পাটনা থেকে পেপার ফাঁস হয়েছিল। CBI EOU থেকে রিপোর্টের সিকোয়েন্সিং শুরু করেছে এবং প্রথম এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল, যাতে আট অভিযুক্তের নাম ছিল। এর মধ্যে রয়েছে সঞ্জীব মুখিয়া, সিকান্দার যদ্বেন্দু, অমিত আনন্দ, আয়ুষ রাজ, নীতীশ কুমার, রকি, অখিলেশ এবং বিট্টু। সিবিআই প্রথমে পাটনার তিনটি জায়গায় অভিযান চালায় এবং সিকান্দার যাদবেন্দুর ফ্ল্যাটে পৌঁছয়। এরপর লার্ন অ্যান্ড প্লে স্কুল ও তার বয়েজ হোস্টেলেও অভিযান চালানো হয়। NH গেস্ট হাউসেও তল্লাশি চালানো হয়। পাটনার খেমনিচকের লার্ন অ্যান্ড প্লে স্কুলে সঞ্জীব মুখিয়ার অধীনে ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে বসে প্রশ্নপত্রের উত্তর মুখস্থ করানো হয় বলে অভিযোগ।

এরপর হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার্জশিটে নাম দেওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে নীতীশ কুমার, অমিত আনন্দ, সিকান্দার যাদভেন্দু, আশুতোষ কুমার, রোশন কুমার, মনীশ প্রকাশ, অখিলেশ কুমার, অবধেশ কুমার, অনুরাগ যাদব, অভিষেক কুমার, শিবানন্দন কুমার এবং আয়ুষ রাজ।

ফের পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত
১৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে NEET UG 2024 পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, উভয় পক্ষের কথা শোনার পর এটা স্পষ্ট যে পরীক্ষার নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি, তাই আর পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। পেপার ফাঁস ও অন্যান্য অনিয়মের কারণ দেখিয়ে ফের পরীক্ষার আবেদন খারিজ করা হয়।