জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত দোভালের বাড়িতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করল এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একটি গাড়ি নিয়ে অজিত দোভালের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে থামিয়ে দেন ও হেফাজতে নেন। বর্তমানে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের দল ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার পর ওই ব্যক্তি নিজের মনেই কথা বলছিলেন। তিনি জানান, কেউ তাঁর শরীরে একটি চিপ ঢুকিয়ে দিয়েছে। এবং তাঁকে দূর থেকে কেউ বা কারা নিয়ন্ত্রণ করছে। যদিও ওই ব্যক্তির শরীর থেকে কোনও চিপ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : বাপ্পি লাহিড়ী কেন এত সোনা পরতেন, তাঁর কী কী গয়না ছিল?
জানা গিয়েছে, হেফাজতে থাকা ব্যক্তি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশের অ্যান্টি টেরর ইউনিটের বিশেষ সেল ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে, লোধি কলোনিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জঙ্গিদের টার্গেট দোভাল!
অজিত দোভালকে ভারতের জেমস বন্ড বলা হয়। পাকিস্তান ও চিন, এই দুই দেশেরই মাথাব্যথার অন্যতম কারণ দোভাল। অনেক জঙ্গি সংগঠনেরও টার্গেটে রয়েছে দোভাল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জইশ সন্ত্রাসীর কাছ থেকে ডোভালের অফিসের রেইকির একটি ভিডিও পাওয়া যায়। সেই ভিডিওটি পাকিস্তানি হ্যান্ডলারকে পাঠিয়েছিল জঙ্গিরা। এর পর দোভালের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়।
উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়ওয়ালে জন্ম অজিত দোভালের। কেরল ক্যাডারের একজন IPS অফিসার ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে, তিনি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আইবির সঙ্গে যুক্ত হন। একজন গোয়েন্দা এজেন্ট হয়ে, দোভাল অনেক কাজ সম্পন্ন করেছেন। শোনা যায়, তিনি প্রায় ৭ বছর পাকিস্তানে গুপ্তচর হিসেবে বসবাস করেছিলেন।
আলও পড়ুন : এনামূলকে তিনি চেনেন না, গরুপাচারকাণ্ডে CBI জেরা শেষে জানান দেব
উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়ওয়ালে জন্ম অজিত দোভালের। কেরল ক্যাডারের একজন IPS অফিসার ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে, তিনি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আইবির সঙ্গে যুক্ত হন। একজন গোয়েন্দা এজেন্ট হয়ে, দোভাল অনেক কাজ সম্পন্ন করেছেন। শোনা যায়, তিনি প্রায় ৭ বছর পাকিস্তানে গুপ্তচর হিসেবে বসবাস করেছিলেন। 'অপারেশন ব্লু স্টার', 'অপারেশন ব্লু থান্ডার'-এ তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৯ সালে যখন বিমান হাইজ্যাক হয়, তখন দোভালকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান আলোচক করা হয়েছিল।