আলু সঙ্কট মোকাবিলায় শুক্রবারই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়ক। শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকের ফাঁকে এবার আলু সমস্যা নিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরন মাঝি। বাংলা থেকে ওড়িশায় আলু সরবরাহ যাতে মসৃণ হয়, তা সুনিশ্চিত করতে মমতার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এই ইস্যুতে গতকালই মমতাকে চিঠি লিখেছিলেন ওড়িশার বিরোধী দলনেতা নবীন। বাংলা-ওড়িশা সীমানায় ৫০টিরও বেশি আলু বোঝাই ট্রাক আটকে রয়েছে বলে শুক্রবার মমতাকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন নবীন। ওড়িশায় যাতে ভাল ভাবে আলু সরবরাহ করা হয়, সেই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে মমতাকে চিঠিতে আর্জি জানিয়েছেন নবীন। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে নবীন লিখেছেন, 'আলু আমাদের জীবনে প্রয়োজনীয় জিনিস। বৃষ্টির কারণে ওড়িশায় আলুর ঘাটতি দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি যে, বাংলা-ওড়িশা সীমানায় ৫০টিরও বেশি আলু বোঝাই লরি আটকে রয়েছে।' ওড়িশায় যাতে আলু সরবরাহ ঠিকমতো হয়, সেই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে মমতার কাছে আর্জি করেছেন নবীন।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাজারে আলুর দাম চড়া। ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা।বুধবার হুগলির হরিপালে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বৈঠকের পরেই ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কথা জানান। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি গত সোমবার থেকে পুলিশের জুলুমের প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। এর ফলে হিমঘর থেকে আলু বেরোনো প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং আড়তগুলিতেও আলুর জোগান কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে বাজারে, যেখানে চন্দ্রমুখী আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি এবং জ্যোতি আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে আলুর দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দেন। সঙ্কট কাটাতে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার হুগলির হরিপালে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে পান্ডুয়ার বৈঁচী বাজারে কৃষি দফতর ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান। বাজার ঘুরে তাঁরা আলুর দাম কত, কত দামে কেনা কত করে বিক্রি হচ্ছে তা খুচরো বিক্রেতাদের থেকে জানতে চান।