Jagannath Dham Neem Wood Controversy: পুরীর নিমকাঠ দিয়েই দিঘায় জগন্নাথ বিগ্রহ? চরম বিতর্কে ওড়িশার মন্ত্রী যা বললেন...

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাড়তি নিমকাঠ দিয়েই দিঘার বিগ্রহ নির্মাণ করা হয়েছে? এই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। এবার মুখ খুললেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী। সত্যিই কি অতিরিক্ত দারু ব্রহ্ম নিয়ে আসা হয় দিঘায়? দ্বৈতাপতির ভূমিকাই বা কী ছিল?

Advertisement
পুরীর নিমকাঠ দিয়েই দিঘায় জগন্নাথ বিগ্রহ? চরম বিতর্কে ওড়িশার মন্ত্রী যা বললেন...Jagannath Dham Neem Wood Controversy
হাইলাইটস
  • নিমকাঠ নিয়ে দুই জগন্নাথধামের মধ্যে বিতর্ক
  • পুরীর অতিরিক্ত নিমকাঠ দিয়েই দিঘায় বিগ্রহ নির্মাণ?
  • বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ তৈরিতে পুরীর মন্দিরের বাড়তি নিমকাঠ ব্যবহার করা হয়েছে? অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করেন। বলেন, 'আমার এত খারাপ দিন পড়েনি যে নিমকাঠ চুরি করব'। এবার সেই বিতর্কে ইতি টানলেন খোদ ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। সোমবার, তিনি জানিয়েছেন, দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের বিগ্রহ নির্মাণের সময়ে পুরীর নিমকাঠ ব্যবহার করা হয়নি।

নবকলেবরের সময় পুরী জগন্নাথ মন্দিরে দেবতা তৈরিতে ব্যবহৃত অতিরিক্ত দারু ব্রহ্ম  (পবিত্র নিমকাঠ) দিয়ে   দিঘার জগন্নাথ  মন্দিরে মূর্তি তৈরি করা হয়েছে বলেও একাংশ দাবি করেছিল।  এ নিয়ে তদন্ত করার কথাও বলেছিল ওড়িশার সরকার। কিন্তু পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের  সঙ্গে  আলোচনার পর আইনমন্ত্রী জানান, পুরীর মন্দিরের জগন্নাথের মূর্তির জন্য বিশেষ নিমকাঠ অন্য কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। তিনি  বলেন, ‘দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে বিগ্রহ তৈরিতে অতিরিক্ত দারু বা পবিত্র নিমকাঠ ব্যবহারের অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মহারাণা সেবকরা (ছুতোর) আলোচনার সময়  জানিয়েছেন যে উদ্বৃত্ত পবিত্র দারু ব্রহ্ম থেকে আড়াই ফুট লম্বা মূর্তি খোদাই করা অসম্ভব।’

উল্লেখ্য, পুরীর মন্দিরের সেবায়ত রাজেশ দ্বৈতাপতি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনে উপস্থিত ছিলেন।  তিনিই প্রথম দাবি করেছিলেন, ২০১৫ সালে পুরীর মন্দিরে নবকলেবরে ব্যবহৃত পবিত্র নিম কাঠের অবশিষ্টাংশ দিয়েই বানানো হয়েছে দিঘায় জগন্নাথের বিগ্রহ। তাঁর এই দাবি ঘিরে হইচই সৃষ্টি হয়। পরে যদিও নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে ওড়িশা সরকারকে জানান, পুরীর দারু ব্রহ্ম দিঘায় বিগ্রহ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়নি। সেটি অন্য জায়গা থেকে আনা হয়েছে। তাঁর সেই মন্তব্যের কথাই স্মরণ করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমার বাড়িতেও চারটে নিম গাছ রয়েছে। এত খারাপ দিন আসেনি যে নিমকাঠ চুরি করব।' তিনি আরও বলেন, 'পুরীতে সবচেয়ে বেশি বাঙালি পর্যটক যায়। ওড়িশায় ঝড়-তুফান হলে বাংলা সবরকম ভাবে পাশে থাকে। তাহলে এখানে জগন্নাথ মন্দির হওয়ায় এত সমস্যা কেন? এত গায়ে লাগছে কেন?'

Advertisement

অবশেষে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নিমকাঠ বিতর্কে ইতি টেনেছে ওড়িশার বিজেপি সরকার। ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান স্পষ্ট ভাবে বলেন, 'পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাড়তি কাঠ থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তি বানানোর মন্তব্য দ্বৈতাপতি মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন। এই ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওখানকার মহারানা সেবক যে সমাজ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলার পর গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। কাঠের যতটা অংশ বাকি রয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে কোনও মূর্তি বানানো অসম্ভব। দ্বৈতাপতি সমাজের সেক্রেটারি তদন্ত করেছেন। তাঁরাও স্বীকার করে নিয়েছেন যেটা বলা হয়েছিল তা ভুলবশত।'

 

 

POST A COMMENT
Advertisement