দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির জের? এবার 'জগন্নাথ ধাম', 'মহাপ্রসাদ', 'শ্রীমন্দির' ইত্যাদির মতো নামগুলোর স্বত্ব পেতে আইনি পথে হাঁটতে পারে পুরীর জগন্নাথ ধাম কর্তৃপক্ষ। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে। সেই মন্দিরটি পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এরমধ্যেই স্বত্ব পেতে চাইছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মন্দিরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শব্দের তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শ্রী জগন্নাথ ধাম (স্থান), শ্রীমন্দির (মন্দির), মহাপ্রসাদ (ভোগ), নীলাচল (পুরী যা নীলাচল নামেও পরিচিত) ধাম, বড় দণ্ড (মন্দিরে যাওয়ার প্রধান পথ) এর মতো শব্দগুলির স্বত্ব দাবি করা হবে।
সম্প্রতি পুরীর মহারাজা দিব্যসিংহ দেবের সভাপতিত্বে শ্রী জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটি একটি বৈঠক হয়। সেখানেই স্বত্ব সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে জেলা শাসক ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে SJTA (Shree Jagannatha Temple Administration)এর প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ পাধি বলেন, পুরী মন্দিরের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে। তা যাতে অক্ষুন্ন থাকে ও রক্ষা করা যায় সেজন্য নামের স্বত্ব নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।' PTI-কে ওই ব্যক্তি বলেন,'দ্বাদশ শতাব্দীর এই মন্দিরের মূল আধ্যাত্মিক পরিচয়ের যাতে অপব্যবহার না হয় ও পবিত্রতা রক্ষা করা যায়, সেজন্য নয়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ।'
গত মাসে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। সেখানে ধাম শব্দটি ব্যবহার হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ওড়িশা সরকার। ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানিয়েছিলেন, দিঘার মন্দিরের নাম থেকে জগন্নাথধাম কথাটি সরানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হবে।
পরে এই নিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে চিঠিও লিখেছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি। চিঠিতে জগন্নাথ ধাম শব্দটি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। মাঝি তাঁর চিঠিতে বলেছিলেন, পুরীর মন্দির ছাড়া অন্য কোনও মন্দির বা স্থানের জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করা লক্ষ লক্ষ ভক্তের অনুভূতিতে আঘাত করা হবে।
প্রসঙ্গত, পুরীতে যে পর্যটকরা যান তাঁদের একটা বিশাল অংশ বাংলার। সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে, পুরীতে যাওয়া ৯৭.২৫ লক্ষ দেশীয় পর্যটকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যা, ১৩.৫৯ লক্ষ, বা ১৪% ছিল বাংলার।