কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গুলিতে যারা প্রাণ হারাচ্ছেন, তাঁদের নিয়ে জাতীয় স্তরে আলোচনা হচ্ছে না, এই নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী উমর আবদুল্লাহ। তাঁর কথায়, 'পহেলগাঁও হামলায় মৃতদের নিয়ে সারা দেশে আলোচনা চলছে। কিন্তু সীমান্তে যারা মারা গেছেন, তাঁদের মৃত্যু যেন কোনও গুরুত্বই পাচ্ছে না। তাঁরা কি ভারতীয় নন?'
সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীর উত্তপ্ত। সেই সঙ্গে সীমান্তে লাগাতার গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। একের পর এক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। এমনকি জম্মু অঞ্চলেও ড্রোনের গতিবিধি বেড়েছে। উমর আবদুল্লাহর কথায়, '১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এমন পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি।'
সব ধর্মের মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তবুও নীরবতা!
উমর আবদুল্লাহ আরও বলেন, 'সীমান্তের গুলিতে শুধু মুসলিম নয়, শিখ, হিন্দু সকলেই মারা গেছেন। এমনকি গুরুদ্বার, মসজিদ, মন্দির পর্যন্ত নিশানা হয়েছে। বিএসএফ জওয়ানও শহিদ হয়েছেন। কিন্তু জাতীয় মিডিয়ায় সেই ঘটনা গুরুত্ব পাচ্ছে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক।'
কাশ্মীরিরা নিজেরাই পথে নেমেছে প্রতিবাদে
তবে আশার আলো একটাই—কাশ্মীরের মানুষ নিজেরাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন। উমর জানান, এই প্রতিবাদ কোনও দল বা সরকারের উদ্যোগে হয়নি। মানুষ নিজে থেকে রাস্তায় নেমেছে। তারা বুঝিয়ে দিয়েছে, জঙ্গিরা যাই বলুক না কেন, কাশ্মীরিরা তাদের সমর্থন করে না।
পাকিস্তানকে কড়া বার্তা জরুরি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু জঙ্গিদের নয়, যারা সাহায্য করছে তাদেরও টার্গেট করা হবে। এই নীতিকে সমর্থন জানিয়ে উমর আবদুল্লাহ বলেন, 'এটাই হওয়া উচিত। উরি, পুলওয়ামা, বালাকোটের পর এবার ফের ভারত শক্ত বার্তা দিল। শান্তি চাইলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।'
স্থানীয় স্তরে জঙ্গিদের সমর্থন কমেছে
অনেক সময় অভিযোগ ওঠে, কাশ্মীরে স্থানীয় স্তরে জঙ্গিদের সহায়তা মেলে। কিন্তু এবার উমর আবদুল্লাহ জানালেন, এই ধরনের স্থানীয় সাপোর্ট অনেকটাই কমেছে। পহেলগাঁও হামলার পর মানুষ প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন—এটা গত ৩৫ বছরে খুব বিরল ঘটনা।