Amit Shah on Op Mahadev: 'নিহত ৩ জনই পাকিস্তানি,' লোকসভায় 'প্রমাণ' দিলেন অমিত শাহ

২৮ জুলাই অপারেশন মহাদেবে ৩ জঙ্গিকে খতম করেছেন জওয়ানরা। নিহত ৩ জনই পাকিস্তানি, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'বিরোধীরা, প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম বলছেন, ওরা যে পাকিস্তানি, তার কী প্রমাণ আছে?

Advertisement
'নিহত ৩ জনই পাকিস্তানি,' লোকসভায় 'প্রমাণ' দিলেন অমিত শাহঅপারেশন মহাদেবে খতম ৩ জঙ্গিই পাকিস্তানি, প্রমাণ দিলেন অমিত শাহ।
হাইলাইটস
  • ২৮ জুলাই অপারেশন মহাদেবে ৩ জঙ্গিকে খতম করেছেন জওয়ানরা।
  • নিহত ৩ জনই পাকিস্তানি, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
  • তিনি বলেন, 'বিরোধীরা, প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম বলছেন, ওরা যে পাকিস্তানি, তার কী প্রমাণ আছে?'

২৮ জুলাই অপারেশন মহাদেবে ৩ জঙ্গিকে খতম করেছেন জওয়ানরা। নিহত ৩ জনই পাকিস্তানি, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'বিরোধীরা, প্রাক্তন মন্ত্রী পি চিদম্বরম বলছেন, ওরা যে পাকিস্তানি, তার কী প্রমাণ আছে? আজ আমি তার সমস্ত প্রমাণ দেব।' এরপরেই তিনি পহেলগাঁও হামলার স্থল থেকে প্রাপ্ত কার্তুজ, জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এমনকি জঙ্গিদের কাছে থাকা পাকিস্তানি চকোলেটের মাধ্যমে প্রমাণ পেশ করেন। এর পাশাপাশি ৩ জঙ্গির মধ্যে ২ জনের পাকিস্তানের ভোটার পরিচয়পত্রও মিলেছে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ডাচিগাম অঞ্চলে, মাউন্ট মহাদেবের কাছে অভিযান চালিয়ে হামলায় অভিযুক্ত জঙ্গি মুসাকে খতম করা হয়। তাদের কাছ থেকে আমেরিকার তৈরি M4 কারবাইন, রোমানিয়ার Model 90 অ্যাসল্ট রাইফেল, ও রাশিয়ার AKM 7.62 রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। পহেলগাঁওয়ের হামলাস্থলে পাওয়া কার্তুজ-গুলির সঙ্গে এই বন্দুকগুলি মিলে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর উপত্যকার স্থানীয় জঙ্গিদের কাছে এত উন্নতমানের অস্ত্র সাধারণত দেখা যায় না। এর থেকেই স্পষ্ট হয় যে, সীমান্তপারে অস্ত্র সরবরাহের চক্র অ্যাকটিভ রয়েছে।

দ্বিতীয় দিনে পা দিল অপারেশন মহাদেব
অমিত শাহ জানান, এদিন সেনার কাছে নতুন করে খবর এসেছে যে, আরও কিছু জঙ্গি ডাচিগামের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে পারে। গোয়েন্দারা মৃতদের মুখ ও বায়োমেট্রিক তথ্য মিলিয়ে শনাক্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এদিকে সেনা সূত্রের দাবি, নিহতদের সঙ্গে আরও কয়েক জন থাকতে পারে। সমস্ত যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কীভাবে জঙ্গিরা ধরা পড়ল?
অমিত শাহ জানালেন, পহেলগাঁও হামলার পর দ্রুত জঙ্গিদের নিকেষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাড়াহুড়ো করা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হচ্ছিল। তারা যাতে ভারত থেকে বেরিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যেতে না পারে, সেই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জুলাইয়ের গোড়ায় সেনার হাতে কিছু সন্দেহজনক রেডিও মেসেজও আসে। এরপর ১৪ দিন ধরে লস্কর ও জইশ জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি যৌথ টিমের উপর নজর রাখা হয়। 

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২২ এপ্রিলের হামলার সময় যে চিনা রেডিও কমিউনিকেশন ডিভাইস অ্যাকটিভ ছিল, সেটি ফের গত দু’দিন আগে চালু করা হয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই সেনা জঙ্গিদের অবস্থান ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। আর তারপরেই অতর্কিতে আধুনিক কৌশলে হামলা চালানো হয়।বিশাল সাফল্য পায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।  

POST A COMMENT
Advertisement