পাকিস্তানের ৬ ফাইটার জেট ধ্বংস করেছে ভারত, 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সামনে বড় তথ্য

পহেলগাঁও হামলার জেরে ভারতের অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। ধ্বংস করা হয় নটি জঙ্গি ঘাঁটি। পাকিস্তানের আরও কী কী ক্ষতি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য এবার সামনে এল।

Advertisement
পাকিস্তানের ৬ ফাইটার জেট ধ্বংস করেছে ভারত, 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সামনে বড় তথ্য Operation Sindoor
হাইলাইটস
  • পহেলগাঁও হামলার জেরে ভারতের অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়
  • পাকিস্তানের আরও কী কী ক্ষতি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য এবার সামনে এল

পহেলগাঁও হামলার জেরে ভারতের অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়। ধ্বংস করা হয় নটি জঙ্গি ঘাঁটি। পাকিস্তানের আরও কী কী ক্ষতি হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য এবার সামনে এল। ৬-৭ মে রাত থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়। সূত্র মারফত এই খবর পেয়েছে আজতক। 

সূত্রের দাবি, ভারতের লাগাতার হামলার জেরে পাকিস্তানের ৬টি PAF যুদ্ধবিমান, ২টি AWACS, ১টি C-130 বিমান, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, UAVs এবং UCAVs ধ্বংস হয়। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সূত্রের খবর, সুদর্শন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুদর্শনের মাধ্যমে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্ততুতে আঘাত হানে। 

পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে হামলায় একটি সুইডিশ AEW&C বিমানও ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ছিল। তবে ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেয়। সেজন্য বিমানের ক্ষতির তথ্য পাকিস্তান সরকারিভাবে সামনে আনেনি। পাকিস্তানের আকাশসীমাতে থাকা ১০টিরও বেশি UCAV আটকে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। তা ধ্বংসও করা হয়েছে। 

এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের C-130 বিমান ধ্বংস হয়। Rafale এবং Su-30-এর হামলায়, 'উইং লুং' সিরিজের বেশ কয়েকটি মাঝারি উচ্চতার চিনা ড্রোন ধ্বংস করা হয়। তবে পাকিস্তানের আরও ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

এদিকে মঙ্গলবার পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জানান, অপারেশন সিঁদুর জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, 'অপারেশন সিঁদুরের আবহে আমি যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা জানতাম মোকাবিলা করার জন্য আমাদের হাতে ড্রোন প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকি কতটা ছিল, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা ক্ষতি বা বাধার কথা ভেবে খুব বেশি প্রভাবিত হই না। নিজেদের ভুল আমাদের বুঝতেই হবে এবং শোধরাতে হবে। বিপত্তির কারণে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরাও তা করে দেখিয়েছি।' 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement