
পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে পাকিস্তানে 'অপারেশন সিঁদুর' চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। সেনার সেই অপারেশনকে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার কাজে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ করল কংগ্রেস।
তাদের অভিযোগ, ভারতীয় রেলের টিকিটের একটি জায়গায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখ ও 'অপারেশন সিঁদুর' লেখা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিজেপি সেনা অপারেশনের কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে।
IRCTC-র সেই টিকিট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও কংগ্রেস নেতা পীযূষ বাবিলি। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'মোদী সরকার কতটা বিজ্ঞাপনজীবী তা এই টিকিট থেকে পরিষ্কার। 'অপারেশন সিঁদুর'-কে এখন বিজ্ঞাপনের মতো ব্যবহার করছে তারা। সেনার পরাক্রমকে প্রোডাক্টের মতো বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছে। এটা দেশভক্তির উদাহরণ নয়, ব্যবসা।'
ওই কংগ্রেস নেতার আরও দাবি, সেনার কৃতিত্বকে নিজে নেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। বিহার নির্বাচনে যাতে এর প্রভাব পড়ে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ধরনের প্রচারে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
বহুজন সমাজ পার্টিও এর বিরোধিতায় সরব হয়েছে। দলের সাংসদ কুনওয়ার দানিশ এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ স্বরূপ লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী যেন যুদ্ধ ও শহিদদের ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। অনেক সাধারণ নাগরিক মারা গিয়েছেন। জওয়ানরা তাঁদের সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেছেন, অথচ তাঁদের নাম নেই। কেবল মোদীর প্রোমোশনের চেষ্টা হচ্ছে। এটাও এক ধরনের আত্মপ্রচার নয় কি?'
আম আদমি পার্টির তরফেও সমালোচনা করা হয়েছে। তাদের তরফে লেখা হয়েছে, 'ভারতীয় সেনা পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দিয়েছে। জওয়ানদের জন্য গোটা দেশ গর্বিত। সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচার চালানোর চেষ্টা করছেন। যদি ছবি দিতেই হয় তাহলে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের দেওয়া উচিত।'
এদিকে বিতর্ক দানা বাঁধতেই বিবৃতি জারি করা হয় ভারতীয় রেলের তরফে। তাদের তরফে বলা হয়, 'অপারেশন সিঁদুর করার জন্য আমরা দেশের সেনা জওয়ানদের প্রতি কৃতজ্ঞ ও গর্বিত। তাঁদের সাফল্যে গোটা দেশ গর্বিত। তাদের সম্মান জানাতেই অপারেশন সিঁদুরের ছবি দেওয়া হয়েছে টিকিটে। দেশজুড়ে এই প্রচার চালানো হচ্ছে।'