Indian Airstrike: পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞের বড় প্রমাণ, ২ বড় বিমানঘাঁটিতে হামলার আগের ও পরের ছবি

পাকিস্তানের সামরিক কাঠামোয় ধ্বংসের নতুন অধ্যায় রচনা করল ভারতের অপারেশন সিন্দুর। ২০২৫ সালের ৭ মে শুরু হওয়া এই অভিযান ছিল শুধু সন্ত্রাসবিরোধী নয়, বরং পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতার উপর একটি নিখুঁত কৌশলগত আঘাত।

Advertisement
পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞের বড় প্রমাণ, ২ বড় বিমানঘাঁটিতে হামলার আগের ও পরের ছবি
হাইলাইটস
  • পাকিস্তানের সামরিক কাঠামোয় ধ্বংসের নতুন অধ্যায় রচনা করল ভারতের অপারেশন সিন্দুর।
  • ২০২৫ সালের ৭ মে শুরু হওয়া এই অভিযান ছিল শুধু সন্ত্রাসবিরোধী নয়, বরং পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতার উপর একটি নিখুঁত কৌশলগত আঘাত।

পাকিস্তানের সামরিক কাঠামোয় ধ্বংসের নতুন অধ্যায় রচনা করল ভারতের অপারেশন সিন্দুর। ২০২৫ সালের ৭ মে শুরু হওয়া এই অভিযান ছিল শুধু সন্ত্রাসবিরোধী নয়, বরং পাকিস্তানের সামরিক ক্ষমতার উপর একটি নিখুঁত কৌশলগত আঘাত।

হামলার কারণ ও প্রেক্ষাপট
২২ এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে এক জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত এই ঘটনার জন্য জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার মতো পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে দায়ী করে। এর প্রতিক্রিয়াতেই ভারত চালায় অপারেশন সিন্দুর – যার প্রথম ধাপে নিশানা করা হয় ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি।

প্রধান লক্ষ্য – নূর খান ও মুরিদ বিমানঘাঁটি
ভারতের পাল্টা প্রতিশোধ ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলে, যেখানে পাকিস্তানের ১১টি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল নূর খান (রাওয়ালপিন্ডি) এবং মুরিদ (চকওয়াল) – কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুই সামরিক ঘাঁটি।

স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ
ম্যাক্সার টেকনোলজিস ও মিজারভিশন-এর স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে এই অভিযান কতটা সফল ছিল।

নূর খান বিমানঘাঁটি:
১০ মে: দুটি সামরিক ট্রাক ধ্বংস, রানওয়েতে বিশাল গর্ত।

২৩ মে: একটি ৭,০০০ বর্গফুট কম্পাউন্ড পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভবনভিত্তিক অভ্যন্তরীণ ও কাঠামোগত ক্ষতি, আগুনে বৈদ্যুতিক সিস্টেম বিকল।

ঘাঁটিটি পাকিস্তানের এয়ার মোবিলিটি কমান্ড এর সদর দপ্তর, যেখানে C-130, IL-78 এবং কারাকোরাম-8 মোতায়েন ছিল।

মুরিদ বিমানঘাঁটি:
ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

শাহপার, বারাক, উইং লুং-এর মতো ড্রোন মোতায়েন ছিল।

আক্রমণে কমান্ড সেন্টারের ছাদ ধ্বংস ও অভ্যন্তরীণ ক্ষতি।

সম্ভাব্য ভূগর্ভস্থ স্থাপনার কাছে আঘাত – ৩ মিটার প্রশস্ত গর্ত।

কৌশলগত ও পারমাণবিক প্রভাব
নূর খান বিমানঘাঁটি পাকিস্তানের কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের (Strategic Plans Division) নিকটে অবস্থিত, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষিত। এই আক্রমণ পাকিস্তানের সামরিক সরবরাহ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বড় ধরনের ধাক্কা।

এছাড়া, একটি মার্কিন বিকিরণ পর্যবেক্ষণ বিমান পাকিস্তানে গিয়েছিল পারমাণবিক ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে।

Advertisement

অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা
ভারত এই অভিযানে ব্রহ্মোস, হ্যামার এবং স্ক্যাল্প মিসাইল ব্যবহার করে। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানান, এই হামলা ছিল সুনির্দিষ্ট এবং বেসামরিক এলাকা এড়িয়ে পরিচালিত।

ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাও প্রশংসনীয়ভাবে পাকিস্তানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
যদিও পাকিস্তান দাবি করে যে তারা আক্রমণ প্রতিহত করেছে, কিন্তু স্যাটেলাইট চিত্রে উল্টো সত্য প্রকাশ পেয়েছে। ১০ মে পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়, যা ভারতের অভিযান সফলতারই প্রমাণ।


 

POST A COMMENT
Advertisement