Operation Sindoor-World Reactions : ভারতের প্রত্যাঘাত, কী বলছেন বিশ্বের তাবড় নেতারা?

মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কশ্মীরে হামলা চালিয়েছে ভারত। নটি জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারতীয় স্থল-জল ও বায়ুসেনা। এদিকে এই হামালার পরই সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে।

Advertisement
ভারতের প্রত্যাঘাত, কী বলছেন বিশ্বের তাবড় নেতারা? India Attacks Pakistan
হাইলাইটস
  • মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কশ্মীরে হামলা চালিয়েছে ভারত
  • নটি জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারতীয় স্থল-জল ও বায়ুসেনা

মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কশ্মীরে হামলা চালিয়েছে ভারত। নটি জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারতীয় স্থল-জল ও বায়ুসেনা। এদিকে এই হামালার পরই সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি করছে পাক সেনারা। পৃথিবীর প্রায় সব দেশের তরফেই দুই দেশের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করা হয়েছে। 

এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ২৫ মিনিট ধরে চলে এই অপারেশন। শুরু হয় ১টা০৫ মিনিটে। শেষ হয় দেড়টার সময়। সরকারের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় পহেলগাঁও হামলার বদলা হিসেবেই এই প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। 

ভারতের এই পদক্ষেপের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জার। আমরা এই মাত্র খবর পেলাম। মনে হয়, অতীতে যা হয়েছে, তার ভিত্তিতে কিছু একটা যে হতে চলেছে, মানুষ তা জানত। অনেক দিন ধরে ওরা লড়ছে। আমি আশা করছি, দ্রুত এই সংঘাত থামবে।'

ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইজরাইল। সেই দেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'সন্ত্রাসবাদীদের বোঝা দরকার গোটা বিশ্বে তাদের লুকোনোর কোনও জায়গা নেই। তারা নিরপরাধ মানুষের উপর যে হামলা চালিয়েছে তা ঘৃণ্য।' 

রাষ্ট্রসংঘের সচিব আন্তোনিও গুতেরেস ভারতের প্রত্যাঘাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দুই দেশের সেনা যাতে সংযত থাকে, তার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়, 'এলওসি ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে সচিব উদ্বিগ্ন। দুই দেশের সেনাকে সংযত থাকতে হবে। দুই দেশ যুদ্ধ শুরু করলে তা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের।' 

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, 'আমরা চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভারত ও পাকিস্তান সবসময় একে অপরের প্রতিবেশী এবং চিনেরও প্রতিবেশী। আমরা চাই এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক। চিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। তবে একই সঙ্গে আমরা চাই না কেউ এমন কিছু করুক যাতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। উভয় পক্ষকে সংযম দেখাতে হবে এবং এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।'

Advertisement

জাপানের মুখ্যসচিব ইয়োশিমাসা হায়াশিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, '২২ এপ্রিল যে হামলা হয় তার নিন্দা আমরা করছি। একইসঙ্গে প্রতিশোধমূলক আদান-প্রদান শুরু হলে বিশ্ব বিপদে পড়বে। দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য, আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই সংযম প্রদর্শন এবং সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার আহ্বান জানাচ্ছি।' 

POST A COMMENT
Advertisement