Oppenheimer Controversy: ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। ভগবত গীতার লাইন পড়তে বললেন প্রেমিকা জিন ট্যাটলক (ফ্লোরেন্স পুগ)। 'আমিই মৃত্যু, জগতের ধ্বংসকারী,' বললেন বিজ্ঞানী জে. রবার্ট ওপেনহেইমার(সিলিয়ান মারফি)। উদ্দাম যৌনতায় ভেসে গেল দুই দেহ। ক্রিস্টোফার নোলানের ওপেনহাইমার বায়োপিক-এর এক দৃশ্য। আর এই দৃশ্য নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। যৌনতার সময়ে হাতে গীতা। সঙ্গে আবেগঘনভাবে গীতার শ্লোক। এই দৃশ্য মোটেও হালকাভাবে নেননি দর্শকদের একাংশ। এক বিজ্ঞানীর বায়োপিকে এমন দৃশ্যের তাত্পর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। হিন্দুদের উস্কানি দিতেই এমনটা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন অনেকে।
ভারতে ওপেনহাইমার বেশ হিট। দেশের ১,৯২৩টি পর্দায় এটি মুক্তি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
২২ জুলাই ইনফরমেশন কমিশনার উদয় মাহুরকার টুইটারে ছবির পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখেন। দাবি করেন, গীতার ব্যবহারের মাধ্যমে 'হিন্দু ধর্মের উপর ভয়াবহ আক্রমণ' করা হয়েছে। 'সেভ কালচার সেভ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে'র প্রতিনিধি হিসাবে তিনি বলেন, 'একজন বিজ্ঞানীর জীবনীতে এমন অপ্রয়োজনীয় দৃশ্যের কারণ বা যুক্তি বুঝতে পারলাম না। কিন্তু এর মাধ্যমে ১০০ কোটি সহনশীল হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর সরাসরি আঘাত করা হয়েছে। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান। এটি হিন্দু বিরোধী শক্তির একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।'
উদয় মাহুরকার হলিউডের বিরুদ্ধে দ্বিচারিচতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর কথায়.কোরান এবং ইসলামের ক্ষেত্রে হলিউড যথেষ্ট সংবেদনশীল। মুসলমানদের ভাবাবেগে যেন আঘাত না করা হয়, সেই বিষয়ে তারা সতর্ক থাকে। হিন্দুদেরও কি সেই একই সৌজন্য প্রাপ্য নয়?
উল্লেখযোগ্য, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) কিন্তু ছবি থেকে এই দৃশ্য কাটতে বলেনি। ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স প্রাইভেট লিমিটেড, নিজেরাই সিনেমার দু'টি যৌনতার দৃশ্যে কাটছাঁট করে ভারতে ছেড়েছে।
এমনকি একটি দৃশ্যে অভিনেত্রীকে নগ্নভাবে সোফায় বসে থাকতে দেখা যায়। সেই দৃশ্যেও নগ্নতা আড়াল করতে সিজিআই দিয়ে কালো পর্দা পরানো হয়েছে। গালিগালাজ 'মিউট' করা এবং সাবটাইটেল থেকে বাদ দেওয়াও হয়েছে।
বাস্তবে পরমাণু বোমার জনক বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার গীতার অনুরাগী ছিলেন। পরমাণু বোমা সৃষ্টির পর তিনি গীতা পড়েন। তারপর নিজেই বুঝতে পারেন যে, তিনি একটি ভয়ঙ্কর ভুল করে ফেলেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁকে গীতার উক্তি বলতে শোনা গিয়েছে। গীতার প্রতি তিনি এতটাই আকৃষ্ট ছিলেন যে, শুধু এটি ভালভাবে পড়তে সংস্কৃত শিখেছিলেন।