Rahul Gandhi on Tariff: 'পীযূষ গোয়েল যত ইচ্ছা পিঠ চাপড়ান, ট্রাম্পের সামনে ঝুঁকতেই হবে মোদীকে', কটাক্ষ রাহুলের

শুল্ক আরোপ লাগু করতে ট্রাম্পের বাড়ানো সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে এখনও কোনও চুক্তি হয়নি। আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক আরোপের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে নির্ধারিত সময়সীমার কাছে মাথা নত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement
'পীযূষ গোয়েল যত ইচ্ছা পিঠ চাপড়ান, ট্রাম্পের সামনে ঝুঁকতেই হবে মোদীকে', কটাক্ষ রাহুলেররাহুল গান্ধী

শুল্ক আরোপ লাগু করতে ট্রাম্পের বাড়ানো সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে এখনও কোনও চুক্তি হয়নি। আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক আরোপের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে নির্ধারিত সময়সীমার কাছে মাথা নত করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আমেরিকা ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছিল। এর পরে, তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই সময়সীমা ৯ জুলাই শেষ হতে চলেছে। 

পীযূষ গোয়েলের বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া রাহুল গান্ধীর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মন্তব্যের পরই মুখ খোলেন রাহুল। এদিন পীযূষ গোয়েল বলেন, ভারত আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে যখন তার স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক কার্যকর হতে আর মাত্র তিন দিন বাকি। এরপরই বিরোধীদলনেতা এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে।

পাল্টা পীযূষ গোয়েল এদিন বলেন, "ভারত ডেডলাইনের মধ্যে আলোচনা করে না। জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রেখে আলোচনা করে। বিশ্বজুড়ে আমাদের সব কাজে জাতীয় স্বার্থই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ... আজ ভারত শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে আলোচনা করে। আত্মবিশ্বাসী এবং বিশ্বের যে কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি। এটা ইউপিএ শাসনকালের ভারত নয়, যেখানে জাতীয় স্বার্থের বাইরে আলোচনার জন্য ভিক্ষা চাওয়া হবে... রাহুল গান্ধী, তার সহকর্মীরা এবং তার দল ক্রমাগত যে নেতিবাচক মন্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন সে কারণে আর কেউ তাঁকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। তারা ভারতের জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। যারা বারবার কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ পর্যন্ত, তারা জাতির উন্নয়নের জন্য কোনও ইতিবাচক এজেন্ডা নিয়ে আসতে পারেনি।"


বাণিজ্য চুক্তির সময়সীমা ৯ জুলাই শেষ হবে
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বাণিজ্য চুক্তি ৯ জুলাইয়ের আগে স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৯ জুলাই ছিল এই চুক্তির জন্য দেওয়া শেষ সময়সীমা। 

Advertisement

লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এ প্রসঙ্গে ট্যুইট করে বলেন, "পীযূষ গোয়েল যত ইচ্ছা বুক চাপড়াতে পারেন, কিন্তু আমার কথা মনে রাখবেন, মোদী ট্রাম্পের শুল্কের সময়সীমার কাছে মাথা নত করবেন।"

ভারতকে 'শুল্কের রাজা' আখ্যা ট্রাম্পের
ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে একবার শুল্কের বড় অপব্যবহারকারী এবং 'শুল্কের রাজা' বলে অভিহিত করেছিলেন। ২ এপ্রিল, ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্কের আওতায় ভারতীয় পণ্যের উপর ২৬% শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এরপর শুল্ক আরোপের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়ে দেন, যাতে অন্যান্য দেশগুলি আমেরিকার সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছনোর সুযোগ পায়।

ভারত কৃষিপণ্যের উপর শুল্ক কমাবে না
একটি বড় বিষয় হল, ভারত মার্কিন কৃষি আমদানি যেমন ভুট্টা এবং সয়াবিনের উপর শুল্ক না কমানোর বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের দুগ্ধ খাতে আরও বেশি প্রবেশাধিকার চেয়েছে। যেখানে ৮ কোটিরও বেশি লোক কর্মসংস্থান করে। এটিও বিতর্কের একটি বিষয়।

দুগ্ধ খাতে আপস না করার ব্যাপারে ভারত অনড়
দিল্লিতে এক ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোয়েল বলেন, ভারত কৃষি ও দুগ্ধ খাতের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। ভারত কখনই সময়সীমা বা সময়ের চাপের উপর ভিত্তি করে বাণিজ্য চুক্তি করে না। 

এটি উভয় পক্ষের জন্যই একটি লাভজনক চুক্তি হওয়া উচিত। যাতে ভারতের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে। তবেই এটি একটি ভালো বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। যদি এটি ঘটে তবে ভারত সর্বদা উন্নত দেশগুলির সঙ্গে যোগ দিতে প্রস্তুত।

POST A COMMENT
Advertisement