
বুধবার লোকসভায় ৩টি বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গুরুতর অভিযোগে লাগাতার ৩০ দিন পর্যন্ত জেল খাটলে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমনকী, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকেও অপসারিত হতে হবে। এই বিল পেশের সময়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটল সংসদে। ভাষণ চলাকালীন অমিত শাহের দিকে বিলের খসড়া কাগজ ছিঁড়ে ছুড়ে মারলেন বিরোধী সাংসদরা। বেনজির মুহুর্তের সাক্ষী থাকল লোকসভা।
ঠিক কী ঘটেছে লোকসভায়?
১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করছিলেন অমিত শাহ। ঠিক সে সময়ে প্রবল হট্টগোল জুড়ে দেন বিরোধী সাংসদরা। ওই বিলটির খসড়া কাগজ ছিঁড়ে কুটিকুটি করে ফেলেন, তারপর অমিত শাহের দিকে ছুঁড়ে ফেলেন সেই ছেঁড়া বিলের টুকরো। এখানেই শেষ নয়, ট্রেজারি বেঞ্চের চারপাশে জড়ো হন বিরোধীরা। অভিযোগ, শাহের মাইক ঘুরিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। তাঁদের বাধা দিতে নেমে পড়েন শাসকদলের সাংসদরাও। ওয়েলে নেমে আসেন সাংসদ রবনীত বিট্টু, কমলেশ পাসওয়ান, কিরেণ রিজিজু, সতীশ গৌতমরা। কিন্তু টানা স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন বিরোধীরা।
জানা গিয়েছে, বিরোধীদের তরফে প্রথম তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপর কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বিলের খসড়া ছিঁড়ে ফেলেন এবং তা অমিত শাহের দিকে ছুড়ে দেন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা। বেণুগোপালের দেখাদেখি ধর্মেন্দ্র যাদবও বিলের খসড়া ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলেন অমিত শাহের দিকে। কংগ্রেসকে যোগ্য সঙ্গ দেয় সমাজবাদী পার্টির সাংসদরাও।
বিল পেশ করে এদিন অমিত শাহ কার্যত সাফাই দিয়ে বলেন, 'ভুয়ো অভিযোগে যখন জেল খাটতে হয়েছিল, নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। আমি এতটাও নির্লজ্জ নই। আমি চাই এই নৈতিকতাবোধ সকলের মধ্যে থাকুক।'