Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিদের সাহায্য করা যুবককে গ্রেফতার

অপারেশন মহাদেবে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিদের খতম করেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র বিশ্লেষণের পর কাটারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু'দিন আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকা হয়েছিল। বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement
পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিদের সাহায্য করা যুবককে গ্রেফতারপহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিদের সাহায্য করা ব্যক্তি গ্রেফতার
হাইলাইটস
  • ধৃতের নাম মহম্মদ ইউসুফ কাটারিয়া
  • সে জঙ্গিদের থাকা খাওয়া সহ সমস্ত ধরনের সাহায্য করেছিল

পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ ইউসুফ কাটারিয়া। সে জঙ্গিদের থাকা খাওয়া সহ সমস্ত ধরনের সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ। অপারেশন মহাদেবে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত জঙ্গিদের খতম করেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র বিশ্লেষণের পর কাটারিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু'দিন আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকা হয়েছিল। বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে কাজ করা এবং স্থানীয় শিশুদের পড়ানো কাটারিয়া কয়েক মাস আগে সন্ত্রাসবাদীদের সংস্পর্শে আসে। তাদের সহায়তা শুরু করে। তদন্তে জানা গিয়েছে যে পহেলগাঁও হামলার কয়েক মাস আগে লস্কর জঙ্গিদের কুলগামের বনে থাকা খাওয়াতে সাহায্য করেছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটারিয়া কুলগামের উপরের অংশে বসবাসকারী যাযাবর সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত, যাদের কুঁড়েঘর পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশের জন্য লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা প্রায়শই এই অঞ্চলগুলি ব্যবহার করে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে যে কাটারিয়াকে খুঁজে বের করার জন্য বিপরীত তদন্ত ব্যবহার করা হয়েছিল। তদন্ত দল বিভিন্ন সূত্র বিশ্লেষণ করে তাকে খুঁজে বের করে। প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে কাটারিয়া জঙ্গিদের অস্ত্র, খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করেছিল।

২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারান উপত্যকায় পাঁচ সন্ত্রাসবাগী ২৬ জন পর্যটককে গুলি করে খুন করে। এই জঙ্গিরা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, যা পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) এর একটি ফ্রন্ট সংগঠন। এই হামলায় এম৪ কার্বাইন এবং একে-৪৭ এর মতো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। জঙ্গিরা হিন্দু পর্যটকদের ধর্ম জেনে জেনে গুলি করেছিল। যারা ইসলামিক কলমা পড়তে ব্যর্থ হয়েছিল তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি পুরো দেশকে নাড়া দিয়েছিল এবং পর্যটনও বিরূপভাবে প্রভাবিত হয়েছিল।

এই হামলার পর ভারত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে। তবে, পহেলগাঁয়ে জড়িত জঙ্গিদের নিকেশ করার জন্য সেনাবাহিনী একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল তৈরি করে, যার নাম দেওয়া হয় অপারেশন মহাদেব। এই অভিযান ৯৬ দিন স্থায়ী হয়েছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীদের ধরা বা হত্যা করা।

Advertisement

জঙ্গিদের অবস্থান ট্র্যাক করার জন্য সেনাবাহিনী ড্রোন এবং হিউমিন্ট (মানব গোয়েন্দা) ব্যবহার করে। দাচিগাম বনে জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়, যেখানে তারা লুকিয়ে ছিল। ২৮ জুলাই সকালে নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলে। জঙ্গিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, কিন্তু সেনাবাহিনী পাল্টা প্রতিশোধ নেয়। ছয় ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষের পরে তিন জঙ্গি নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি AK-47, গ্রেনেড এবং একটি IED (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) উদ্ধার করা হয়। এই অস্ত্রগুলি পহেলগাঁও হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল।

POST A COMMENT
Advertisement