Pahalgam Terror Attack Update: পহেলগাঁওয়ে উত্তেজনা, যুদ্ধের আশঙ্কায় আগেভাগেই ফসল কাটছে গ্রামবাসীরা!

Pahalgam Terror Attack Update: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা! পাহালগামে বাঙ্কার প্রস্তুতি, যুদ্ধের আশঙ্কায় ফসল কাটছেন গ্রামবাসীরা। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই হাজার হাজার ব্যক্তিগত ও কমিউনিটি বাঙ্কার নির্মাণ করেছিল, এখন সেগুলো পুনরায় প্রস্তুত করা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা সেনার সঙ্গে একত্রিত হয়ে সীমান্ত রক্ষায় কাজ করছে।

Advertisement
পহেলগাঁওয়ে উত্তেজনা, যুদ্ধের আশঙ্কায় আগেভাগেই ফসল কাটছে গ্রামবাসীরা!পহেলগাঁওয়ে উত্তেজনা, যুদ্ধের আশঙ্কায় আগেভাগেই ফসল কাটছে গ্রামবাসীরা!

Pahalgam Terror Attack Update: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনিয়ে এসেছে। পাহালগামের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়েছে, আর গ্রামবাসীরা নিজেদের জীবন রক্ষার জন্য বাঙ্কার প্রস্তুত করছে। একইসঙ্গে, অনিশ্চয়তার ভয় থেকে কৃষকরা আগেভাগেই ফসল কেটে নিচ্ছেন।

সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি!
জম্মু-কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত (IB) এবং নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) সংলগ্ন গ্রামগুলোতে এখন যুদ্ধের প্রস্তুতির মতো পরিস্থিতি। আরএস পুরা সেক্টরের ত্রেভা গ্রামের প্রাক্তন সরপঞ্চ বলবীর কউর বলেন,"কী হবে, কেউ জানে না! তাই বাঙ্কারগুলো ঝাঁটপোঁছ করছি, যাতে গোলাগুলি শুরু হলে নিরাপদে থাকতে পারি।"

বাঙ্কার পরিষ্কার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার
কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই হাজার হাজার ব্যক্তিগত ও কমিউনিটি বাঙ্কার নির্মাণ করেছিল, এখন সেগুলো পুনরায় প্রস্তুত করা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা সেনার সঙ্গে একত্রিত হয়ে সীমান্ত রক্ষায় কাজ করছে।

পহলগাঁও হামলার রেশ: নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
২০২১ সালে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি কার্যকর থাকলেও, পাহালগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে সীমান্তে ফের উত্তেজনার ছায়া নেমে এসেছে। সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এবং নিজেদের মতো করে সুরক্ষার ব্যবস্থা করছেন।

সীমান্তের বাস্তবতা: জীবন-মৃত্যুর লড়াই
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত ৩,৩২৩ কিমি জুড়ে বিস্তৃত। এর মধ্যে ২২১ কিমি আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং ৭৪৪ কিমি নিয়ন্ত্রণরেখা জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত। ২০০৩ সালে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও, বাস্তবে বহুবার তা ভঙ্গ হয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে ৫,০০০-রও বেশি বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘিত হয়েছিল।

মানুষের আতঙ্ক ও প্রতিক্রিয়া
ত্রেভা গ্রামের কৃষক সেবা রাম বলেন, "আমরা ফসল কেটে রাখছি যাতে যুদ্ধ হলে খাদ্যের অভাব না হয়। আমরা অস্ত্রহীন সৈনিক, নিজেদের রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব।" পুঞ্চের সালোত্রি গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুকের বক্তব্য,
"পরিস্থিতি উত্তপ্ত, তবে আমরা ভারতীয় সেনার পাশে আছি। পাকিস্তানকে এবার কঠোর শিক্ষা দিতে হবে।"

ভারতের কঠোর বার্তা: প্রতিশোধ নিশ্চিত!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, যারা সন্ত্রাসে মদত দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভারতের পাল্টা পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে—

Advertisement

সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতকরণ
আটারি সীমান্ত বন্ধ
পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বন্ধ
সীমান্তবাসীর সাহস ও প্রস্তুতি

 

POST A COMMENT
Advertisement