পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার জেরে কাশ্মীর থেকে ফিরতে চাইছেন পর্যটকরা। এই সুযোগে বিমানভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো। যার জেরে বিপদে পড়েছেন পর্যটকরা। এমতাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করল অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক (DGCA)।
পহেলগাঁওতে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে DGCA বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন যাত্রীদের সব রকমের সাহায্য করে। ভাড়া নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিমান বাতিল করার জন্য যে চার্জ সংস্থাগুলো নেয় তা যেন নেওয়া না হয়। একই সঙ্গে টিকিট রিসিডিউলড করার জন্য যে চার্জ দাবি করা হয়, তাও নিতে বারণ করেছে সরকার। নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, বিমান সংস্থাগুলোর তরফে পর্যটকদের যা যা সাহায্য করা সম্ভব তা যেন করা হয়।
DGCA আরও জানিয়েছে, পহেলগাঁওতে আক্রমণের পর থেকে বিমানের চাহিদা বেড়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে নিজের নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে চাইছেন। বিমান পেতে যাতে কোনও অসুবিধে না হয় তা দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলিতে রক্তে ভেসে যায় বাইসরনের 'মিনি সুইজারল্যান্ড'। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় জেনে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। কারও কাপড় খুলে ধর্ম যাচাই করা হয়। সরকারি ঘোষণায় জানানো গিয়েছে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭ জন জখম। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন পর্যটক।
প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় পাকিস্তানি ও স্থানীয় কাশ্মীরি সন্ত্রাসবাদীরা যৌথভাবে চালিয়েছে। এক জঙ্গির প্রথম ছবি সামনে এসেছে। এই ছবিটি ঘটনাস্থলের, যেখানে এক জঙ্গিকে হাতে বন্দুক ধরে আছে। যদিও ছবিতে জঙ্গির মুখ দেখা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, জঙ্গিরা হেলমেট লাগানো ক্যামেরা পরে ছিল। যাতে তারা ঘটনার পুরো দৃশ্য ভিডিও করতে পারে। তিনজন জঙ্গি পর্যটকদের এক জায়গায় জড়ো করে। এরপর পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা করা হয়। তারপর সবার পরিচয় জানে জঙ্গিরা। কিছু লোককে দূর থেকে গুলি করা হয়েছিল, আবার কিছু লোককে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল। বেশিরভাগ লোক অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারা যান।