India Pakistan War News: পাক সেনার গোলাগুলিতে ভারতে মৃত বেড়ে ১৫, LoC লাগোয়া এলাকা উত্তপ্ত

নিয়ন্ত্রণ রেখা নাগাড়ে গোলাগুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পর নির্বিচারে হত্যা করছে ভারতের সাধারণ নাগরিককে। এখনও পর্যন্ত কাশ্মীর সীমান্তে পাক গোলাগুলিতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৪৩। সীমান্ত এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের।

Advertisement
পাক সেনার গোলাগুলিতে ভারতে মৃত বেড়ে ১৫, LoC লাগোয়া এলাকা উত্তপ্তIndia Pakistan War News
হাইলাইটস
  • LoC-তে পাক সেনার গোলাগুলি
  • মৃত্যু ১৫ ভারতীয় নাগরিকের
  • উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে পাক সেনা। এর জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকেলের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৩ জন। 

জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ এবং তাংধার অঞ্চলে গুলিবৃষ্টি করেছে পাকিস্তান। শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে LoC-তে। পাক গোলাগুলিতে জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকার একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রাউন্ড রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে ইন্টালিজেন্স ব্যুরো। নানা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। ধ্বংসস্তূপে ছড়িয়ে রয়েছে চতুর্দিকে। যদিও ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in.

ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাও পাক গোলাগুলির জবাব দিয়েছে। ক্রস বর্ডার ফায়ারে পাকিস্তানে সেনাঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুপওয়ারা, রাজৌরি, পুঞ্চ সেক্টরে পাক সেনাঘাঁটিতে গুলি চালানো হয়েছে। 

শিরোমনি অকালি দলের প্রধান সুখবিন্দর সিং বাদল এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছেন,পাক আক্রমণে মৃতদের তালিকায় রয়েছেন তিন শিখ। পুঞ্চের শ্রী গুরু সিং সভা সাহিব গুরুদ্বারে হামলা চালানোর জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। 

নাগাড়ে পাক গোলাগুলির জেরে LoC এলাকা থেকে সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতি মুহূর্তের আপডেট নিচ্ছেন BSF ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিং চৌধুরীর থেকে। জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গেও লাগাতার কথা বলছেন তিনি। 

গত ১৩ দিন ধরে পাকিস্তান একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারত যখন জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়, তখন থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতীয় বিমান ও সেনাবাহিনীর নির্ভুল হামলায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কাঠামো ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামগুলিতে গোলাগুলি শুরু করে। সালামাবাদে, আগুনে একাধিক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। ভাঙা বাসন, মগ, ছিন্নভিন্ন আসবাব—সবই সেই হামলার নীরব সাক্ষী। এখনও কিছু বাড়িতে ধোঁয়া উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত, তবে তাঁরা সেনাবাহিনীর পাশে আছেন এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ভারতীয় পদক্ষেপকে সমর্থন করছেন। 

Advertisement

 

 

POST A COMMENT
Advertisement