হিন্দু তীর্থযাত্রীদের পুশব্যাক পাকিস্তানেরপাকিস্তান রয়েছে পাকিস্তানেই। তাদের বদমায়েশি আর শেষ হচ্ছে না। সেই কারণেই ১২ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীকে ফেরত পাঠাল তারা।
আসলে এই ১২ জন হিন্দু শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে জাঠায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার অপরাধে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিল পাকিস্তান।
মঙ্গলবার ১৯৩২ তীর্থযাত্রী পাকিস্তানে প্রবেশ করে আটারি-ওয়াঘা বর্ডারের মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে ওই ১২ জন হিন্দুকে পাকিস্তানের মাটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয় শেহবাজ শরিফের সরকার। তবে তাদের ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলেই খবর।
কী বললেন একজন তীর্থযাত্রী?
ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলেন আমির চাঁদ নামের এক তীর্থযাত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা শিখ জাঠার অংশ ছিলাম। তবে আমাদের ফেরত পাঠানো হয় শুধু হিন্দু হওয়ার জন্য। পাকিস্তানের আধিকারিকরা বলেন, তুমি এই জাঠায় গিয়ে কী করবে!'
তিনি আরও জানান, আগে পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন আমির। ২০১৭ সালে ভারতের নাগরিকত্ব নেন। এই বার তিনি শিখ জাঠার অংশ হিসাবে পাকিস্তান যেতে চেয়েছিলেন। তবে সেই দেশের পক্ষ থেকে তাদের প্রথমে অনুমতি দিয়েও পরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি তিনি এটাও অভিযোগ করেন যে পাকিস্তান তাদের লুঠ করেছে। তীর্থযাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত বাসের ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে ঘটনার কথা স্বীকার করা হয়েছে
পাকিস্তান যে এই নক্কারজনক কাজটা করেছে, সেটা স্বীকার করা হয়েছে ভারতের তরফ থেকে। অমৃতসরের এক সিনিয়র আধিকারিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের পর এটাই ছিল প্রথম শিখ জাঠা। আর সেই জাঠাতেই নিজের রং চেনাল পাকিস্তান। তারা শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার অপরাধে পাকিস্তানে ঢুকতে দিল না। আর এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে পাকিস্তান রয়েছে পাকিস্তানেই। তাদের কোনও বদল হয়নি।
পরিস্থিতি খারাপ
পেহেলগাঁও জঙ্গিহানার বদলা নিতে অপারেশন সিঁদুর করে ভারত। যেখানে উড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক একবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশেষত, ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভেঙে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। আর তাতেই চাপে পড়েছে শেহবাজ, মুনিরের দেশ। তারা নানাভাবে চেষ্টা করছে ভারতকে চাপে রাখার। আর সেটা করতে না পেরে সাধারণ তীর্থযাত্রীদের উপর রাগ দেখাচ্ছে তারা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।