ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'-এ বিচলিত পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বেশ কয়েকটি সেনা ঘাঁটিতে করে পাকিস্তান। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়। ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে S-400 সতর্কতা দেখিয়েছে। সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের পর, আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বিদেশমন্ত্রক একটি প্রেস ব্রিফিং করে। এই সময় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং 'অপারেশন সিঁদুর' সম্পর্কে নতুন তথ্য দেন।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, "আজ মধ্যরাতে পশ্চিমী সেনার ওপর হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনা। অস্ত্র, গুলিবর্ষণ করেছে। ৩৬টি জায়গায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। ড্রোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলি তুর্কির বলে মনে করা হচ্ছে। ভাতিন্ডায় হামলা চালানো হয়। ভারত সব প্রতিরোধ করেছে। একটা ড্রোন এডি রেডার সিস্টেম ধ্বংস করে। ভারতের কিছু জওয়ান শহিদ হয়েছেন। পাকিস্তানি সেনাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ না করেই আক্রমণ করেছে। এটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। পাকিস্তান নিজেদের নাগরিক বিমান ঢালের মতো ব্যবহার করছে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল করছে পাকিস্তানে।"
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, "পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ করেছে। অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাংধর, উরি এবং উধরপুরে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ করে। পাকিস্তানি গুলিবর্ষণের ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় বিমান বাহিনী দুর্দান্ত সংযম দেখিয়েছে। পাকিস্তান ভারতের ৩৬টি জায়গা লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছিল।"
পাকিস্তান তুরস্কে তৈরি ড্রোন ব্যবহার করেছে: কর্নেল কুরেশি
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে এই হামলায় তুরস্কে তৈরি একটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এই আক্রমণের জবাব দেয়। ড্রোন পাল্টা আক্রমণ চালায়, যাতে পাকিস্তানের নজরদারি রেডার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
যাত্রীবাহী বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান
কর্নেল কুরেশি আরও বলেন, "পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ করেনি বরং ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। যখন এই হামলা চালানো হয়েছিল, তখন করাচি এবং লাহোরের মতো প্রধান শহরগুলিতে যাত্রীবাহী বিমানগুলি উড়ছিল, যা সাধারণ নাগরিকদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিল। আন্তর্জাতিক বিমান সহ সমস্ত যাত্রীদের জন্য এটি বিপজ্জনক ছিল। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পুরো অভিযানের সময় সংযম প্রদর্শন করে।"
পাকিস্তান বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে: বিক্রম মিস্রি
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, কান্দাহার, উরি, পুঞ্চ, রাজৌরি, আখনুর এবং উধমপুরের মতো নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় গুলি চালিয়ে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই আক্রমণে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু ক্ষয়ক্ষতি এবং আহত হয়েছে, তবে প্রতিশোধমূলক গুলিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মিস্রি আরও বলেন, ড্রোন হামলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পাকিস্তান তার বেসামরিক আকাশসীমা বন্ধ করেনি, যা একটি বিপজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ। তিনি বলেন, পাকিস্তান বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, যার ফলে কেবল পাকিস্তানই নয়, আন্তর্জাতিক উড়ানের নিরাপত্তাও বিপন্ন হচ্ছে।