এই নিয়ে টানা দশমবার। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিবৃষ্টি পাকিস্তানের। শুক্রবারের পর শনিবারও গভীর রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নৌশেরা, সুন্দেরবাড়ি এবং আখনুরে গোলাগুলি চালানো হয় বলে খবর। তবে ছেড়ে কথা বলেনি ভারতীয় সেনাও। যোগ্য জবাব দিয়েছেন জওয়ানরা।
এক সেনা মুখপাত্র বলেন, 'কোনও প্ররোচনা ছাড়াই ৩ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনা গুলি চালাতে শুরু করে। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হওয়ায় ভারতীয় সেনাও যোগ্য জবাব দিয়েছে।'
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ করেছে ভারত। তিন সেনাবাহিনীকেই যে কোনও পদক্ষেপ করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একজনও জঙ্গিকে রেয়াত করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে জঙ্গিদের মদতদাতাদেরও ছেড়ে কথা বলবে না ভারত, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার মাঝেই পাকিস্তান ৪৫০ কিলোগ্রাম ওজনের পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেছে বলে দাবি করেছে। একইসঙ্গে পরমাণু হাতিয়ার নিক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পড়শি দেশ। রাশিয়ার পাক রাষ্ট্রদূত মহম্মদ জমালি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, 'যদি ভারত পাকিস্তানে হামলা করে অথবা সিন্ধুর জল আটকায় তাহলে পরমাণু হাতিয়ারের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে।' তাঁর কথায়, 'ভারত যদি জল বন্ধ করে তবে সেটিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য ধরা হবে। তারপর তার জবাব দেবে পাকিস্তান।' তবে এরপরই কিছুটা ব্যাকফুটে এসে তিনি বলেন, 'ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। তাই অশান্তি কমানো প্রয়োজন।'