গার্লফ্রেন্ডের পরিবারের সদস্যদের তাড়া খেয়ে ভারতে প্রবেশ করল পাকিস্তানি যুবক। ঘটনায় শোরগোল রাজস্থানের বাড়মেরে। বিএসএফের হাতে ধরা খেয়ে সেই যুবক জানান, তিনি পাকিস্তানের বাসিন্দা। তবে গার্লফ্রেন্ডের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ধাওয়া করেছিলেন। তিনি সেই মাঝরাত থেকে ছুটছেন। একসময় রাস্তা হারিয়ে ফেলেন। তখন না জেনে ভারতের সীমায় প্রবেশ করেন। সীমান্ত রয়েছে তা তিনি বুঝতে না পেরে ভারতের সীমানার প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভিতরে একটি গ্রামে চলে আসেন। গ্রামের ভিতর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ঠিকানা জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। তখন তাঁকে বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বাড়মের এসপি নরেন্দ্র সিং মীনা জানিয়েছেন, ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশকারী পাকিস্তানি নাগরিকের নাম জাগসির পরশুরাম। ২৪ অগাস্ট রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তান সীমান্তের একটি গ্রামে পৌঁছেছিলেন তিনি। বান্ধবীর মা-বাবা ও অন্যরা বিষয়টি জানতে পেরে পিছু ধাওয়া করেন যুবকের। ওই পুলিশ সুপার জানান, সম্ভবত ভয়ে ওই ব্যক্তি সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতীয় সীমান্তে চলে আসে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ২৪ অগাস্ট ভোর ২.৪৮ মিনিটের দিকে বিএসএফ ক্যামেরায় ওই পাকিস্তানি নাগরিককে দেখা যায়। ওই পাকিস্তানি নাগরিকের কাছ থেকে ২টি সিম এবং একটি ডায়েরি-সহ একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানের খারোরার বাসিন্দা। ৩ দিন ধরে আইবি, সিআইডিসিবি, বিএসএফসহ একাধিক নিরাপত্তা সংস্থা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। খারোরা গ্রামটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাঁর বান্ধবীর গ্রাম ভারতের নাওয়াতলা সীমান্ত থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে। তবে জাগসি কেন ভারতে এসেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি সত্যিই ভারতে এসেছিলেন উদ্দেশ্যহীনভাবে নাকি কোনও টার্গেট নিয়ে এসেছিলেন তার তদন্ত হচ্ছে।
২০২০ সাল থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। ২৪ অগাস্ট রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন যুবক। বান্ধবীকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, প্রেমিকা প্রত্যাখ্যান করেন। এদিকে বান্ধবীর পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে সেই যুবককে তাড়া করেন। তখন যুবক আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। একটি গাছের ডালে ঝুলেও পড়েন। তবে ডালটি ভেঙে যায়। তারপরই তিনি পালিয়ে যান সেখান থেকে। ভারতে চলে আসেন।