scorecardresearch
 

Pakistani Woman Seema Haider: প্রেমে পড়ে ভারতে পাক মহিলা, বললেন, 'আমি এখন ভারতীয় হিন্দু,' যোগীর কাছে আর্জি

পাবজি নামক অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মেই হয় বন্ধুত্ব। তারপর একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। প্রেমিক-প্রেমিকা দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের বাসিন্দা। কিন্তু কাঁটাতারের বিভেদ তাঁদেরকে একে অপরের থেকে দূরে রাখতে পারেনি। এই প্রেমের গল্প ভারতের সচিন মীনা ও পাকিস্তানের সীমা হায়দারের।

Advertisement
সীমা হায়দার ও সচিন। ফাইল ছবি। সীমা হায়দার ও সচিন। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • পাবজি নামক অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মেই হয় বন্ধুত্ব।
  • তারপর একে অপরের প্রেমে পড়ে যান।

পাবজি নামক অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মেই হয় বন্ধুত্ব। তারপর একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। প্রেমিক-প্রেমিকা দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের বাসিন্দা। কিন্তু কাঁটাতারের বিভেদ তাঁদেরকে একে অপরের থেকে দূরে রাখতে পারেনি। এই প্রেমের গল্প ভারতের সচিন মীনা ও পাকিস্তানের সীমা হায়দারের।

একটি বেসরকারি সংবাদসংস্থার কাছে সাক্ষাৎকারের সীমা জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসার পর আর নিজের দেশে ফিরে যেতে চান না তিনি। কারণ, দেশে ফিরলেই এরপর পাথর ছুড়ে হত্যা করা হবে তাঁকে। ওই সাক্ষাৎকারের মারফত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে সীমার আর্জি, ‘দয়া করে আমাকে ভারতে সচিনের সঙ্গেই থাকতে দিন। যদি আপনারা আমাকে পাকিস্থানে ফেরত পাঠিয়ে দেন, তাহলে ওরা আমাকে পাথর ছুড়ে হত্যা করবে। পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার থেকে আমার কাছে ভারতে বসে মৃত্যুবরণ করাও শ্রেয়’ জানিয়েছেন ৪ সন্তানের মা।

গত ৪ জুলাই হরিয়ানার বল্লভগড় এলাকা থেকে সীমা এবং তার প্রেমিক সচীনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করার জন্য যে উকিলের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুগল, সেই উকিলই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় শচীনের বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিচারক অভিযুক্তদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও শনিবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সীমা,শচীন এবং তাঁর বাবা।

আরও পড়ুন

এই ঘটনা সামনে আসার পরেই গুলাম হায়দার নামে পাকিস্তানের বাসিন্দা এক ব্যক্তি নিজেকে সীমার স্বামী বলে দাবি করেন। ভিডিও বার্তা মারফত ভারত সরকারের কাছে স্ত্রী এবং সন্তানদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানান তিনি। কিন্তু তাঁর দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে মহিলা জানিয়েছেন, বিগত চার বছর ধরেই আলাদা থাকেন তিনি এবং গুলাম।

নেপালের পোখারা থেকে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সড়ক পথে সোজা ভারতে প্রবেশ করেন সীমা। সঙ্গে ছিল তাঁর ৪ সন্তানও। এরপর গ্রেটার নয়ডায় এসে শচীনের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন মহিলা। শচীনও বাড়ির সকলের সঙ্গে প্রেমিকার আলাপ করিয়ে দেন। বিয়ে করবেন বলেও ঠিক করেন দুজনে। এখন সীমা বলছেন “আমার স্বামী হিন্দু। তাই আমিও হিন্দু। আমি অনুভব করছি, আমি এখন ভারতীয়।”

Advertisement

পাকিস্তান থেকে কী ভাবে ভারতে এসেছিলেন সে কথাও জানিয়েছেন সীমা। তিনি বলেছেন, “আমার ভারতে আসা রোমহর্ষক অভিযান ছিল। করাচি থেকে আমি দুবাই গিয়েছিলাম। সেখানে ১১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। উত্তেজনায় আমার ঘুম আসছিল না। সেখান থেকে আমরা নেপালে আসি। নেপালের পোখরায় সচিনের সঙ্গে আমার দেখা হয়। এর পর নেপাল থেকে ভারতে ঢুকি।” এর পর নয়ডায় এক ভাড়া বাড়িতে পরিচয় গোপন করে ছিলেন সীমা। সচিনই করেছিলেন সমস্ত আয়োজন। দুবাই যাওয়ার জন্য পাকিস্তানে একটি জমিও বিক্রি করেছেন সীমা।

 

Advertisement