বিহারে NDA-র শরিকদের মধ্যে কোনও মতবিরোধ নেই। রটে যাওয়া জল্পনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করলেন অমিত শাহ। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে NDA জোট। এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। তবে জিতলে কি মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে ফের নীতীশ কুমারই? ইন্ডিয়া টুডে টিভি-তে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, 'নির্বাচনের পর BJP এবং জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলি একসঙ্গে বসে মুখ্যমন্ত্রী মুখ বেছে নেবে।' ১৪ নভেম্বর যখন নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হবে, তখন দেখা যাবে NDA পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন। এমনটাই জোর দিতে বলেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, 'নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না, তা আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তবে আপাতত তাঁর নেতৃত্বেই জোট লড়ছে বিহারে। ভোটের পর জোটের সমস্ত দল বসে সিদ্ধান্ত নেবে কে হবেন নেতা।'
BJP মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন নীতীশ
২০২০ সালের পর নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিজেই জানিয়েছিলেন, বিহারে এবার একজন BJP মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়োজন। কারণ তারাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী। অমিত শাহ ফাঁস করলেন এই প্রসঙ্গ। ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে তিনি বলেন, 'আমরা জোটকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিই। নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়া হয় কারণ তিনিই ছিলেন প্রবীণতম।'
দলবদল
নীতীশ কুমারকে ভারতর রাজনীতিতে 'দলবদলু' হিসেবেই দেখা হয়। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, 'কংগ্রেসের সঙ্গে উনি মাত্র আড়াই বছর ছিলেন। ওঁর রাজনৈতিক জীবন কেটেছে কংগ্রেসের বিরোধিতা করেই। ১৯৭৪ সালে জেপি আন্দোলন থেকে শুরু। যে আন্দোলন পরে দেশব্যাপী ছড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলেছিল। তারপরই শুরু হয় সেই অন্ধকার এমারজেন্সির সময়।' মাঝে মধ্যে নীতীশ কুমারের শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং অসংলগ্ন বার্তালাপ নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে একাধিক কথা ওঠে। এই নিয়ে অমিত শাহ জানান, তিনি একাধিকবার ফোনে এবং সামনাসামনি নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর কখনও কোনও অস্বাভাবিকতা মনে হয়নি। তবে বয়সজনিত কারণে কিছু সমস্যা দেখা দিতেই পারে।
বাংলায় কেন কংগ্রেস ব্যর্থ?
লালুপ্রসাদ যাদবের শাসন যারা দেখেছেন, বিহারের সেই মানুষ তাঁকে আর ফেরাতে চান না বলেই দাবি করলেন অমিত শাহ। কংগ্রেসকে বিঁধে তিনি বলেন, 'গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি সর্বদাই ছোট ছোট দলের সঙ্গে জোট করে। ছোট ভাবতে ভাবতে কংগ্রেসও ছোট হয়ে গিয়েছে। অহংকারই কংগ্রেসের পতনের মূল কারণ। সে বিহার হোক বা বাংলা।'