scorecardresearch
 

Parliament Security Breach: সংসদকাণ্ডে রাজস্থানে উদ্ধার অভিযুক্তদের পোড়া মোবাইলের টুকরো, ফোন ঘিরে রহস্য

পুলিশ সূত্রে খবর, সংসদে তাণ্ডবের ঘটনায় অন্যতম মূলচক্রী ললিত ঝা দিল্লি থেকে রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কাছেই সব অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ছিল। রাজস্থানে ওই মোবাইল ফোনগুলি নষ্ট করেছেন ললিত। দিল্লি পুলিশের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

Advertisement
উদ্ধার পোড়া মোবাইলের অংশ। উদ্ধার পোড়া মোবাইলের অংশ।
হাইলাইটস
  • পোড়া ভাঙা মোবাইল ফোন উদ্ধার করল পুলিশ।
  • রাজস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইলের ভাঙা অংশ।
  • রাজস্থানে ওই মোবাইল ফোনগুলি নষ্ট করেছেন ললিত।

সংসদে তাণ্ডবের ঘটনায় অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই পোড়া ভাঙা মোবাইল ফোন উদ্ধার করল পুলিশ। রাজস্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইলের ভাঙা অংশ। রবিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, সংসদে তাণ্ডবের ঘটনায় অন্যতম মূলচক্রী ললিত ঝা দিল্লি থেকে রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর কাছেই সব অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ছিল। রাজস্থানে ওই মোবাইল ফোনগুলি নষ্ট করেছেন ললিত। দিল্লি পুলিশের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, প্রথমে মোবাইল ফোনগুলি ভাঙার পর তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন মোবাইল ফোনগুলি নষ্ট করা হল? কী ছিল ওই ফোনগুলিতে? এই প্রশ্ন ঘিরেই রহস্য ঘনিয়েছে। তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ভাঙা মোবাইলের অংশগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

এছাড়াও অভিযুক্তদের পোশাক এবং জুতোও উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সংসদে তাণ্ডবের ঘটনায় শনিবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এই নিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতের নাম মহেশ কুমাওয়াত। সংসদে তাণ্ডবের ঘটনায় মহেশ যুক্ত বলে দাবি করেছে পুলিশ। রাজস্থানের নাগাউরের বাসিন্দা মহেশ। গত ১৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে এসেছিলেন মহেশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে পালিয়ে রাজস্থানে মহেশের ডেরাতেই ছিলেন ললিত। চার অভিযুক্তের মোবাইল ফোন নষ্ট করতে ললিতের সঙ্গে হাত লাগিয়েছিলেন মহেশও। সংসদকাণ্ডে ধৃত নীলমের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মহেশের। গত বৃহস্পতিবার ললিতের সঙ্গে থানায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। ললিতের গ্রেফতার শুক্রবার রেকর্ড করা হয়। শনিবার মহেশকে গ্রেফতারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় ললিত ঝাকে। সংসদে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় ললিতই মূলচক্রী বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার রাতে কর্তব্যপথ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ললিত। তাঁকে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সংসদে তাণ্ডব চালানোর ঘটনার ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেছিলেন ললিত, এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। 

Advertisement

সংসদে কী ঘটেছিল? 

বুধবার দুপুরে সংসদে অধিবেশন চলছিল। সেই সময় আচমকাই দর্শকদের গ্যালারি থেকে দু'জন ঝাঁপ দেন। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান সাংসদেরা। ছিটকে সরে গিয়ে সাংসদেরা দেখেন যে, চারদিকে হলুদ রঙের গ্যাস বেরোচ্ছে। দুই যুবকের হাতে ছিল রং বোমা। এই দুই যুবকের নাম সাগর এবং মনোরঞ্জন। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দিকে, সংসদের বাইরে স্প্রে নিয়ে ঘুরছিল আরও দু'জন। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবহণ ভবনের সামনে থেকে এক মহিলা-সহ ২ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁদের নাম অমল এবং নীলম। এই চার জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement