সংসদের নিরাপত্তার ফাঁকফোকরের ঘটনায় প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে সংসদ কমপ্লেক্সে যে ঘটনা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক এবং এর গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। তাই এই ঘটনার কঠোর তদন্ত করছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের বিষয়ে বিতর্ক বা প্রতিরোধ এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি হিন্দি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "সংসদে যে ঘটনা ঘটেছে তার গুরুত্বকে একেবারেই অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। তাই স্পিকার স্যার পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থাগুলি কঠোরভাবে তদন্ত করছে। এর পিছনে কারণ কী এবং তাদের উদ্দেশ্য কী? এর গভীরে যাওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সমাধানও খুঁজে বের করতে হবে। প্রত্যেকেরই উচিত এই ধরনের বিষয়ে বিতর্ক বা প্রতিরোধ এড়ানো।"
সংসদে জঙ্গি হামলার বার্ষিকীতে ঘটা এই নিরাপত্তা গাফিলতি নিয়ে বিরোধী দলগুলি সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ করছে এবং গত দুই দিন ধরে সংসদের কার্যক্রম চলতে দিচ্ছে না। তাদের দাবি, প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই বিষয়ে উভয় কক্ষে বিবৃতি দিতে হবে এবং তারপরে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
পুরো বিষয়টি কী?
১৩ ডিসেম্বর দেশ যখন সংসদে জঙ্গি হামলার বার্ষিকী উদযাপন করছিল, একই দিনে সংসদে ঢুকে পড়েন দু'জন। ভিজিটরস পাস থেকে ঢোকে ওই দুই যুবক ভিজিটরস গ্যালারি থেকে লাফ দিয়ে সোজা লোকসভায় পৌঁছে যায়। এরপর জুতোর মধ্যে লুকিয়ে স্মোক গ্যাসও ব্যবহার করেন, যার ফলে ঘরে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এই দুই যুবকের একজন লখনউয়ের বাসিন্দা সাগর শর্মা এবং অপরজন মহীশূরের বাসিন্দা মনোরঞ্জন ডি। এই দুই যুবকই বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমার সুপারিশ পাস নিয়েছিলেন এবং কার্যধারা দেখতে সংসদে প্রবেশ করেছিলেন। সংসদের ভেতরে যখন এসব ঘটছিল, ঠিক সেই সময়ে সংসদের বাইরেও তাদের সঙ্গীরা তোলপাড় সৃষ্টি করে। নীলম ও অমল শিন্দে নামে দুই ব্যক্তি স্মোক গ্যাস ছেড়ে সংসদের গেটের বাইরে পরিবহন ভবনের দিকে স্লোগান দেন। পুলিশ দুজনকেই দ্রুত হেফাজতে নেয়।
প্রসঙ্গত পার্লামেন্টের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে রাজনীতি এখন চরমে। বিরোধীদের তরফ থেকে একটানা দাবি উঠছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাউসে এসে এই বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া উচিত। এদিকে, একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী সংসদের নিরাপত্তায় ত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে এই বিষয়টি তদন্ত করা প্রয়োজন এবং একই সঙ্গে এই মামলার আরও গভীরে যাওয়া প্রয়োজন।