সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সরকারের তরফে, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সংসদের শীতকালীন অধিবেশন নিয়ে ২ ডিসেম্বর সর্বদলীয় বৈঠক করেন।
সাধারণত অধিবেশন শুরু হওয়ার একদিন আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। তবে, ৩ ডিসেম্বর পাঁচটি রাজ্যের ভোট গণনা হওয়ার কারণে সেই দিন এগিয়ে আনা হয়েছিল।
রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে গেরুয়া ঝড় উঠেছে। এবার শীতকালীন অধিবেশনে তার বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে উঠে পড়ে লাগতে পারে। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে 'প্রশ্নের বিনিময়ে টাকা' সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্টও সংসদের এই শীতকালীন অধিবেশনেই লোকসভায় পেশ করা হবে।
প্যানেলের সুপারিশকৃত বহিষ্কার আরোপ হওয়ার আগে, লোকসভাকে সেই রিপোর্ট গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল এবারে সংসদ গরম করে রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেগুলি হল আইপিসি, সিআরপিসি এবং এভিডেন্স অ্যাক্টের রিপ্লেসমেন্ট। শীতকালীন অধিবেশনের সময়েই এই বিলগুলি পর্যালোচনার জন্য গ্রহণ করা হতে পারে। এই সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ইতিমধ্যে তিনটি রিপোর্ট গ্রহণ করেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনে আলোচনা হতে পারে। এটি আপাতত মুলতুবি রয়েছে।
এর আগে বাদল অধিবেশনে এই বিল উত্থাপন করা হয়। বিরোধী দল এবং প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের প্রতিবাদের কারণে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সেটি মুলতুবি হয়ে যায়। এই বিলের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের মর্যাদা একজন ক্যাবিনেট সেক্রেটারির সমান করা হবে। বর্তমানে তাঁরা একজন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সম মর্যাদা ভোগ করেন।