১৪টি পণ্যের বিক্রি বন্ধ করল বাবা রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ। এই পণ্যগুলির উৎপাদন লাইসেন্স এপ্রিলে স্থগিত করা হয়েছিল। উত্তরাখণ্ড সরকারের রাজ্য লাইসেন্সিং অথরিটি এই লাইসেন্সগুলি স্থগিত করেছিল। পতঞ্জলি শীর্ষ আদালতকে বলেছে যে তারা ইতিমধ্যেই তার ৫৬০০ টিরও বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি স্টোরকে অবিলম্বে এই ১৪টি পণ্য বিক্রি বন্ধ করতে বলেছে। এছাড়াও, অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই পণ্যগুলির সমস্ত বিজ্ঞাপন মুছে ফেলতে বলা হয়েছে।
১৪টি আইটেম হল:
বিচারপতি হিমা কোহলি এবং সন্দীপ মেহতার সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) দ্বারা নিবন্ধিত একটি আবেদনের শুনানি করছিল। তাদের অভিযোগ ছিল যে পতঞ্জলি COVID-19 ভ্যাকসিন এবং সমসাময়িক চিকিৎসা পদ্ধতির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালিয়েছিল। সেই মামলাতেই সওয়াল জবাব পর্বে কোর্টকে এই তথ্য জানিয়েছে যোগগুরু রামদেবের সংস্থা। ৩০ জুলাই বেঞ্চ আরও একবার মামলাটি বিবেচনা করবে।
এদিকে, শুধু সুপ্রিম কোর্টেই নয়। এবার বম্বে হাইকোর্টেও ধাক্কা খেল পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ। অন্য কোম্পানির দায়ের করা ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের মামলার ক্ষেত্রে আদালাতের নির্দেশ না মানায় রামদেবের সংস্থাকে ৫০ লক্ষ টাকা জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কর্পূর বিক্রি থেকে বিরত থাকার জন্য হাইকোর্ট অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছিল। সেই আদেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে। মঙ্গলম অর্গানিকস লিমিটেড নামে একটি সংস্থা ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল। সেই মামলায় ২০২৩ সালে অগাস্টে হাইকোর্ট একটি অন্তর্বর্তী আদেশে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডকে তাদের কর্পূর পণ্য বিক্রি করা বন্ধ করতে বলেছিল। যদিও সেই নির্দেশ মানেনি রামদেবের সংস্থা।
হাইকোর্টের বেঞ্চ বলেছে যে আদেশ অবমাননা/ভঙ্গের জন্য নতুন রায় দেওয়ার আগে পতঞ্জলিকে ৫০ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া উপযুক্ত হবে। হাইকোর্ট বিষয়টি পরবর্তী শুনানির জন্য ১৯ জুলাই ধার্য করেছে।