অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য পিএইচডি করা আবশ্যিক নয়। নয়া নিয়মের ঘোষণা করল ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন। বুধবার এই নয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়েছে ইউজিসি। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর এম জগদীশ কুমার এমনটাই জানিয়েছেন। ইউজিসি-র গেজেট নোটিফিকেশনের বিষয়ে টুইটারে শেয়ার করেছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়ছেন, ১ জুলাই ২০২৩ থেকে এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান জগদীশ কুমার জানিয়েছেন, এবার থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএইচডি 'অপশনাল' হিসাবে গণ্য করা হবে। ১ জুলাই ২০২৩ থেকে এই নীতি গ্রহণ করা হবে।
তাহলে ন্যূনতম যোগ্যতা কী?
এবার থেকে NET/SET/SLET-কেই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতার মানদণ্ড হিসাবে ধরা হবে। সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে?
নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশনে টিচার ও অন্য শিক্ষা কর্মী নিয়োগ নীতি ২০১৮-তে বদল আনা হয়েছে। এবার থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগের ক্ষেত্রে NET/SET/SLET-কেই ন্যূনতম কোয়ালিফিকেশন হিসাবে ধরা হবে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তি কী?
দীর্ঘ দিন ধরেই এই বিষয়ে দাবি ছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদের চাকুরিপ্রার্থীদের। এতদিন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদের জন্য পিএইচডি বাধ্যতমূলক স্থির করে রেখেছিল ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন। তবে সিংহভাগেরই দাবি ছিল, পিএইচডি-র সময়সীমা বলে কিছু থাকে না। ফলে গবেষণার বিষয়ের উপর নির্ভর করে অনেকের লম্বা সময় লেগে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই ৫-৬ বছর সময় লেগে যায়। এদিকে এত কিছু করার পর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের চাকরি পেতে পেতে তাঁদের দেরি হয়ে যায়। এই কারণে উচ্চশিক্ষায় অধ্যাপনায় আসার প্রবণতা হ্রাস পাচ্ছে। স্থায়ী, ভাল বেতনের চাকরির অপেক্ষায় অনেকটাই সময় লেগে যেত চাকরিপ্রার্থীদের। এই বিষয়গুলি বিবেচনা করেই অবশেষে নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন। নয়া নিয়মে আগামিদিনে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে কাজের জন্য পিএইচডি করতে হবে না চাকরিপ্রার্থীদের। সরাসরি নেট, সেট, স্লেট-এর পরীক্ষার যোগ্যতার ভিত্তিতেই যোগ দিতে পারবেন তাঁরা।