Panchayat Real Village: ওয়েব সিরিজে সাজানো গ্রাম 'ফুলেরা', বাস্তবে কাদায় ভরা 'পঞ্চায়েত'-এর শ্যুটিং লোকেশন!

ওয়েব সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’ দেখতে ভালো লাগে? ফুলেরা গ্রামের পরিবেশ ভাল লাগে? বাস্তবেও কিন্তু সেই গ্রাম আছে। তবে গ্রামটি কেবল ক্যামেরাতেই সুন্দর। বাস্তবে সেখানকার চিত্র একেবারে ভিন্ন।

Advertisement
ওয়েব সিরিজে সাজানো গ্রাম 'ফুলেরা', বাস্তবে কাদায় ভরা 'Panchayat'-এর শ্যুটিং লোকেশন!বাস্তবের ফুলেরার করুণ দশা।
হাইলাইটস
  • ওয়েব সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’ দেখতে ভালো লাগে?
  • বাস্তবে সেখানকার চিত্র একেবারে ভিন্ন।
  • অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও-তে সদ্য পঞ্চায়েতের ফোর্থ সিজন মুক্তি পেয়েছে।

ওয়েব সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’ দেখতে ভালো লাগে? ফুলেরা গ্রামের পরিবেশ ভাল লাগে? বাস্তবেও কিন্তু সেই গ্রাম আছে। তবে গ্রামটি কেবল ক্যামেরাতেই সুন্দর। বাস্তবে সেখানকার চিত্র একেবারে ভিন্ন।

অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও-তে সদ্য পঞ্চায়েতের ফোর্থ সিজন মুক্তি পেয়েছে। ‘ফুলেরা’ নামের একটি কাল্পনিক গ্রামের কাহিনিকে কেন্দ্র করে এই সিরিজ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই ফুলেরা গ্রাম আসলে মধ্যপ্রদেশের সিহোর জেলার মহোড়িয়া গ্রাম। পঞ্চায়েতের চারটি সিজনই এখানে শ্যুট হয়েছে।

ভরা বর্ষায় কী দশা হয়েছে সেই গ্রামের?
দৃশ্যতই কাদা আর জল জমে গ্রামের রাস্তায়। বিশেষত মহোড়িয়া গ্রামের পঞ্চায়েত বিল্ডিং ঘিরেই কাদা, রাস্তার বেহাল দশা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। ক্যামেরা আর বাস্তবের অব্যবস্থার তুলনা করা হচ্ছে।
picture

নবেদ জাফরির এক গ্রাউন্ড রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে মহোড়িয়ার পঞ্চায়েত বিল্ডিংয়ের চারপাশে জল, কাদা আর আগাছায় ভরা। রিলে যেখানে 'সচিবজি'-র বাস, বাস্তবে সেখানকার অবস্থা মোটেও ভাল নয়।

স্থানীয়রা বলছেন, এই সিরিজ তাঁদের গ্রামকে পরিচিতি দিয়েছে বটে। তবে এতে তাদের গ্রামের পরিকাঠামোগত কোনও উন্নতিই হয়নি। পরিস্থিতি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে। তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'সিরিজে তাঁদের গ্রামের আসল নাম ‘মহোড়িয়া’ না দেখিয়ে ‘ফুলেরা’ বলা হয়েছে। আসল নাম নিলে হয়তো পর্যটন আরও বাড়ত।'

তিন মাস ধরে শ্যুটিংয়ের সময় অভিনয়শিল্পী এবং ক্রুদের বাস ছিল মহোড়িয়াতেই। সচিবজি, রিঙ্কি, প্রধান মঞ্জু দেবী, প্রহ্লাদ, ভূষণ, বিনোদ সহ বেশ কয়েকটি চরিত্রের দৃশ্য এই গ্রামেই নেওয়া হয়েছে।

প্রাক্তন প্রধান প্রতিনিধি লাল সিং সিসোদিয়া জানিয়েছেন, এখন থেকে নতুন সিজনের শ্যুট হলে নির্মাতাদের কাছে দাবি জানানো হবে গ্রামের আসল নাম দেখানোর।

এই ওয়েব সিরিজের ফলে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে মহোড়িয়া ঘুরতে আসছেন। তাঁদের মতে, সরকার চাইলে এই গ্রামকে ‘মডেল ভিলেজ’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারত।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement