নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই আর্জি নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, জেডিইউ-সহ ২০টি বিরোধী দল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই বয়কট করেছে। রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে উদ্বোধনের দাবি করেছে তারাও।
সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সিআর জয়া সুকিন। তাঁর দাবি,'নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নাম অন্তর্ভুক্ত না করে সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। ভারতের জনপ্রতিনিধিত্বের সর্বোচ্চ স্থান সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভা এবং রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যে লোকসভা বা রাজ্যসভাকে বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। অথচ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁকেই ডাকা হয়নি। যা একেবারেই অনুচিত।' জনস্বার্থ মামলাকারী যোগ করেন,'সংসদের অভিন্ন অংশ রাষ্ট্রপতি। কেন শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাত্য রাখা হয়েছিল? এবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি তাঁকে। সরকারের সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।'
আগামী ২৮ মে ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চতুর্থতলের ভবনে ১২০০ সাংসদ থাকতে পারবেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই নির্মাণ করা হয়েছে নতুন সংসদ ভবন। তবে নতুন সংসদ ভবন নিয়েও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে উদ্বোধন করাতে হবে। এই মর্মে দাবি করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে বিরোধীরা। তবে এনডিএ-র শরিক এবং অন্যান্য বিরোধী মিলিয়ে ১৫টি দল থাকতে চলেছে ওই অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন- নীতি আয়োগ-নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন 'বয়কট' মমতার, কারা থাকছেন?
বলে রাখি, প্রথম কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে অভিযোগ তুলেছিলেন, রবিবার নরেন্দ্র মোদী নতুন যে সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে চলেছেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। বুধবার সেই অভিযোগে প্রথম রাজনৈতিক দল হিসাবে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কটের কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। তার পর শামিল হয় বাকি দলগুলিও। এখনও পর্যন্ত ২০টি বিরোধী দল বয়কট করেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।