
গুরুতর অভিযোগে জেলে গেলে ছাড় পাবেন না প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা। ৩০ দিন জেলবন্দি থাকলে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হতে পারে। ৫ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে মন্ত্রীত্ব থেকে সরানো হতে পারে। এই সংক্রান্ত কেন্দ্রের নয়া বিলে তুমুল হট্টগোল শুরু হয় লোকসভায়। বিরোধীরা এই বিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। কী কারণে বিলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এত সমালোচনা? কী রয়েছে বিলে?
বিলটির বিরোধিতা কেন করা হচ্ছে?
বিলে সংবিধান সংশোধনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী ৩০ দিন জেলে থাকলে তাদের পদ থেকে অপসারণের আইন আনার কথা বলা হয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই বিলের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে। বলেছে, এই বিলটি কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলকে যেকোনও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীকে অপসারণের অনুমতি দেবে।
কংগ্রেস নেতা এবং প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি, এক্স পোস্টে লেখেন, প্রস্তাবে আইনি বিধান এবং নির্দেশিকাগুলির অভাবের কথা বলেছেন। তিনি লেখেন, 'এটা কীরকম দুষ্কর্ম! গ্রেফতারের জন্য কোনও নির্দেশিকা নেই! বিরোধী নেতাদের যথেচ্ছভাবে গ্রেফতার করতে চায়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে গ্রেফতারের পরই মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ করার কথা বলা হয়েছে। বিরোধী দলকে বিপাকে ফেলতে করার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করা এই বিলের উদ্দেশ্য। তাদের নির্বিচারে গ্রেফতার করে অপসারণ করবে! আর ক্ষমতাসীন দলের কোনও মুখ্যমন্ত্রীর উপর কখনও কোনও আক্রমণ করা হয়নি!'
দেখা গেছে, গত বছর, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবগারি মামলায় জামিন পাওয়ার আগে ছয় মাস জেলে ছিলেন। এই ছয় মাস তিনি জেল থেকে সরকার পরিচালনা করেছিলেন। জামিন পাওয়ার পরই তিনি পদত্যাগ করেন। সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকটি রায়ে বলেছে, নির্বাচিত সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
যদি নতুন বিল কার্যকর থাকত, তাহলে গ্রেফতারের পর ৩১-তম দিনেই কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণ করা হত।
এই বিলের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, 'ব্ল্যাক ডে, ব্ল্যাক বিল।'
I condemn the 130th Constitutional Amendment Bill, proposed to be tabled, by the Government of India today. I condemn it as a step towards something that is more than a super- Emergency, a step to end the democratic era of India for ever. This draconian step comes as a death… pic.twitter.com/Vx78R1fh6V
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 20, 2025
এতে বিরোধীদের অধিকার খর্ব করা হবে বলে দাবি করছে অবিজেপি দলগুলি। তাই এই বিল পাশ হলে রাজ্যের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা বিপাকে পড়তে পারেন বলে অনুমান বিরোধীদের।