শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে ডোনাল্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া ও জালিয়াতির মামলা রয়েছে আমেরিকায়। এই অভিযোগ সম্পর্কে মোদীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রসঙ্গে উঠেছে কি না। জবাবে মোদী বলেন, 'ভারত একটি গণতন্ত্র এবং আমাদের সংস্কৃতি হল 'বসুধৈব কুটুম্বকম', আমরা সমগ্র বিশ্বকে একটি পরিবার হিসাবে বিবেচনা করি। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি ভারতীয় আমার। যখন এই জাতীয় ব্যক্তিগত বিষয় আসে, তখন দুই দেশের দুই নেতা এই বিষয়ে বৈঠক করেন না এবং ব্যক্তিগত বিষয়ে কিছু আলোচনা করেন না।'
যদি বিরোধীরা আদানির বিষয়ে নীরবতা বজায় রাখার জন্য মোদীকে আক্রমণ শানিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকাতেও আদানির দুর্নীতি ঢেকে রেখেছেন। রাহুল বলেন, 'দেশে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে নীরব থাকেন। বিদেশে, এটি একটি ব্যক্তিগত বিষয় বলে মনে করা হয়! এমনকি আমেরিকাতেও, আদানির দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিয়েছেন মোদী! বন্ধুর পকেট পূরণ মোদীর জন্য 'দেশ গঠন', তখন ঘুষ দেওয়া এবং দেশের সম্পদ লুট করা একটি 'ব্যক্তিগত বিষয়' হয়ে যায়।'
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলেও বলেছেন যে আদানিকে নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করাতে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষুব্ধ ও বিচলিত দেখিয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্ক্রিপ্টেড সাক্ষাৎকার দেওয়ার অভিযোগও করেছেন। সাকেত বলেন,'প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রেস কনফারেন্স করতে বাধ্য করা হয়েছে - যা তিনি ১১ বছরে ভারতে করেননি। এই কারণেই তিনি কখনও ভারতে সাংবাদিকদের প্রশ্ন নেন না। এই কারণেই ভারতে তাঁর 'সাক্ষাৎকার' সম্পূর্ণরূপে স্ক্রিপ্ট করা হয়। তিনি খুব রাগান্বিত এবং হতবাক।'
গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘুষ এবং সিকিউরিটিজ জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে গৌতম আদানি, তাঁর ভাগ্নে এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মার্কিন প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছেন যে আদানি ২০২০-২০২৪ সালের মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ চুক্তির বিনিময়ে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও আদানি গ্রুপ এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে খারিজ করেছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, ট্রাম্প ফরেন করাপ্ট প্র্যাকটিস অ্যাক্টের প্রয়োগ স্থগিত করেন। এই আইনে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।