scorecardresearch
 

PM Modi On Chopra Incident: 'বড় বড় নেতার কোনও কষ্ট নেই', সংসদে চোপড়া প্রসঙ্গ তুলে মমতাকে বিঁধলেন মোদী

বিরোধীদের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়,'বড় বড় নেতারা কথায় কোনও পীড়া নেই। এর চেয়ে বড় লজ্জাজনক, দুঃখজনক কী হতে পারে! যাঁরা নারী অধিকারের  নেতা-নেত্রী হিসেবে পরিচিত, তাঁরাও মুখে তালা দিয়েছেন। কারণ এর সঙ্গে তাঁরা কোনও রাজ্য বা দলের সঙ্গে যুক্ত'।

Advertisement
চোপড়াকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী চোপড়াকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী

বাংলার চোপড়ায় প্রকাশ্যে মহিলার উপর মারধরের ঘটনার প্রসঙ্গ সংসদে তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যসভায় মোদী বলেন,'এক মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হচ্ছে বাংলায়। ওই মহিলা চিৎকার করছেন। কেউ সাহায্য করছেন না। উল্টে ভিডিও তৈরি করছেন। এই ছবি বেদনাদায়ক'। 
  
বিরোধীদের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়,'বড় বড় নেতারা কথায় কোনও পীড়া নেই। এর চেয়ে বড় লজ্জাজনক, দুঃখজনক কী হতে পারে! যাঁরা নারী অধিকারের নেতা-নেত্রী হিসেবে পরিচিত, তাঁরাও মুখে তালা এঁটেছেন। কারণ এই ঘটনাটির সঙ্গে কোনও রাজ্য বা দল যুক্ত। এজন্য মহিলাদের উপর নির্যাতনে নীরব হয়ে যান তাঁরা। এই ঘটনা দেশকে পীড়া দিয়েছে। মা-বোনেদেরও পীড়া দিয়েছে'।

বিরোধীরা নির্বাচিত প্রতিবাদ করেন বলেও সোচ্চার হয়েছেন মোদী। তাঁর মন্তব্য,'রাজনীতি এত নির্বাচিত! ঘটনা অনুকূলে না থাকলে নীরব হয়ে যান তাঁরা। এটা চিন্তার বিষয়'। 

উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক তরুণী ও যুবককে রাস্তা ফেলে মারছে তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। ঘটনার পর হইচই পড়ে যায়। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলামকে। এই তাজিমুল তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। ওই ঘটনার পর তৃণমূল বিধায়ক বিতর্কিত বিবৃতি দিয়েছেন বলে থানায় অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। প্রথমে হামিদুল রহমান বলেছিলেন,আমরা এই ঘটনার নিন্দা করি। কিন্তু ওই মহিলা ভুল করেছেন। তিনি নিজের স্বামী ও ছেলেমেয়েকে ছেড়ে পরকীয়া করেছেন। মুসলিম রাষ্ট্রে কিছু আইনকানুন আছে। যদিও আমরা স্বীকার করছি, কিছুটা বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে'।

আরও পড়ুন

ওই মন্তব্যের পর হামিদুলকে শো-কজ করেছে তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সী। ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে। সূত্রের খবর, হামিদুলকে ফোন করে ধমক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই ধরনের সালিসি সভা যে না বসে। কোনও সমস্যা হলে তা পুলিশ প্রশাসনের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হোক। 

Advertisement

Advertisement