বৃহস্পতিবার বিকাশ ভারত সংকল্প যাত্রায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের চারটি বর্ণের বর্ণনা দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে দেশে মাত্র চারটি জাতি রয়েছে: দরিদ্র, যুবক, মহিলা এবং কৃষক। আমি এই চার বর্ণের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে বড় জাত হল গরীব, আমার কাছে সবচেয়ে বড় জাত হল যুবক, আমার কাছে সবচেয়ে বড় জাত হল মহিলা, আমার কাছে সবচেয়ে বড় জাত হল কৃষক। এই চার বর্ণের উন্নতিই ভারতকে উন্নত করবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিকাশ ভারত সংকল্প যাত্রার সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। সারা দেশে সরকারের প্রধান প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ নাগাল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিকাশ ভারত সংকল্প যাত্রা শুরু করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এই গাড়ির নাম দিয়েছিলাম 'বিকাশ রথ', কিন্তু এই ১৫ দিনে মানুষ এর নাম বদলে 'মোদীর গ্যারান্টিড ভেহিকেল' করেছে। মোদীর প্রতি আপনার এত আস্থা আছে জেনে খুশি হলাম। আমি আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি যে আমি আপনাকে দেওয়া সমস্ত গ্যারান্টি পূরণ করব। মোদী বলেন, মানুষ যেভাবে 'বিকাশ ভারত রথ'-কে স্বাগত জানাচ্ছে, রথের সঙ্গে হাঁটছে। যেভাবে যুব ও সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ যোগ দিচ্ছেন বিকাশ ভারত যাত্রায়। তিনি অনুপ্রেরণাদায়ক। সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করছে তাদের গ্রামের গল্প। কিন্তু আপনাদের অবশ্যই নমো অ্যাপে এই গল্পগুলি আপলোড করতে হবে কারণ আমি প্রতিদিন নমো অ্যাপে এই কার্যকলাপগুলি দেখি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ সেই সময়টাও দেখেছে যখন আগের সরকারগুলো নিজেদেরকে জনগণের পিতা-মাতা মনে করত। যার কারণে স্বাধীনতার পর কয়েক দশক ধরে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকায় আমাদের সরকার হতাশার পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। দেশে আজ যে সরকার আছে, সেই সরকার জনগণকে ভগবান মনে করে। আমরা ক্ষমতার বোধ নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি না, সেবার বোধ নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। মহিলা কৃষক ড্রোন কেন্দ্র শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সময়ের মধ্যে মহিলা কৃষক ড্রোন কেন্দ্রও চালু করেছেন। এই কেন্দ্রটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে (এসএইচজি) ড্রোন সরবরাহ করবে যাতে তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। এই প্রকল্পের অধীনে, আগামী তিন বছরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ১৫,০০০টি ড্রোন দেওয়া হবে। এ জন্য তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। এই উদ্যোগ কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে।