সোমবার সংসদে অধিবেশন শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু এবং তাঁর মন্ত্রিসভার প্রশংসা করলেন মোদী। বললেন, “নেহরুজির বক্তব্য সংসদকে অনুপ্রাণিত করেছে।” এর পাশাপাশি ইন্দিরা আমলের জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদী বলেন, “এই সংসদ ভবন যেমন জরুরি অবস্থা দেখেছে, তেমনই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত হতেও দেখেছে।” তবে ইন্দিরা আমলের প্রশংসা করে মোদী এ-ও বলেন যে, “এই সংসদ বাংলাদেশের মুক্তির জন্য ইন্দিরা গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছিল।”
সেইসঙ্গে সংসদের ভাষণে তাঁর পূর্বসূরিদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে তিন জন প্রয়াত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রী এবং ইন্দিরা গান্ধীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কার্যকালে হারিয়েছে সংসদ।” সংসদের উপর হামলাকে জীবাত্মার উপরে হামলা বলে অভিহিত করেন তিনি। নেহরু, ইন্দিরা, অটলবিহারী থেকে মনমোহন— প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী। পটেল এবং আডবানীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বললেন, “বল্লভভাই পটেল এবং লালকৃষ্ণ আডবানী সংসদকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, 'এই সংসদ ভবন তীর্থক্ষেত্রের থেকে কম নয়। আমাদের শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে এক জায়গায় যখন একই মন্ত্র বারংবার উচ্চারিত হয়, তখন তা তপোস্থলে পরিণত হয়। এই সংসদ ভবন তীর্থক্ষেত্রের থেকে কম নয়। এই সেই সদন, যেখানে পণ্ডিতজী 'স্ট্রোক অব মিডনাইটে' জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। পণ্ডিত নেহেরুর মন্ত্রিসভায় বাবা সাহেব আম্বেদকর ছিলেন।'
মোদীর কথায়, 'দলিত হোক, পীড়িত হোক, গরিব হোক, মহিলা-ধীরে ধীরে সকলের প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে। মহিলা সাংসদরা এসে এই সদনের গরিমা বৃদ্ধি করেছেন। অতীতে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি সংসদে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে প্রায় ৬০০ জন মহিলা সাংসদ ছিলেন। ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত ৪৩ বছর ধরে এই সংসদ ভবনে বসতে পেরেছেন, ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পেরেছেন। সফিকুল ইসলাম ৯৩ বছরেও সংসদে এসেছেন। ২৫ বছর বয়সে চিন্তামণি মুর্মু এই সংসদের সদস্য হয়েছিলেন। যারা প্রচারমাধ্যমে আমাদের দেখেন এবং ভালবাসা দেন, আমরা তাদের ওই ভালবাসা-আত্মিক টানেই সংসদ ছাড়ার পরও তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়ে গিয়েছে।'