মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশ নীতিতে আগ্রহীদের জন্য 'জেএফকে'স ফরগটেন ক্রাইসিস' বইটি পড়ার সুপারিশ করেন। বইটি ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডির সঙ্গে সম্পর্ক এবং সেই সময়ের বিদেশ নীতির উপর আলোকপাত করে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে। যেখানে তিনি বিজেপি সরকারের বিদেশ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
'জেএফকে'স ফরগটেন ক্রাইসিস: টিবেট, দ্য সিআইএ অ্যান্ড দ্য সাইনো-ইন্ডিয়ান ওয়ার' বইটি প্রাক্তন সিআইএ কর্মকর্তা ব্রুস রিডেলের লেখা। বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময় নেহরু মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডির কাছে সামরিক সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন। নেহরু চিনের আক্রমণের মুখে আমেরিকার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সহায়তা চেয়েছিলেন।
বইটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, নেহরু তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি কেনেডির বোন প্যাট কেনেডির প্রতি আগ্রহী ছিলেন। এবং ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের স্ত্রী লেডি এডউইনা মাউন্টব্যাটেনের ব্যবহৃত অতিথিশালায় থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া, ১৯৬২ সালের মার্চ মাসে জন কেনেডি এবং ফার্স্ট লেডি জ্যাকলিন কেনেডির ভারত সফরের সময় নেহরু জ্যাকলিন কেনেডির সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে আগ্রহী ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বইয়ের সুপারিশ এবং কংগ্রেসের সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বইটির বিভিন্ন বিতর্কিত অংশ নিয়ে আলোচনা চলছে, যা নেহরুর ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং সেই সময়ের বিদেশ নীতির উপর নতুন করে আলোকপাত করেছে।