দীপাবলির উৎসব উপলক্ষে দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাদের সঙ্গে সময় কাটাতে গুজরাটের কচ্ছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সৈন্যদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদী বলেন, "মাতৃভূমির সেবা করার এই সুযোগ বড়ই সৌভাগ্যের, যা সকলের ভাগ্যে আসে না।" তিনি সেনাদের তপস্যার জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, ভারত মাতার পুত্র-কন্যারা নিজেদের অসীম ইচ্ছাশক্তি ও সাহসিকতার মাধ্যমে দেশকে নিরাপত্তা ও শান্তির আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণজুড়ে ছিল সেনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। তিনি বলেন, "আপনারা যখন শত্রুদের মুখোমুখি হন এবং আবেগের সঙ্গে গর্জন করেন, তখন সন্ত্রাসের প্রভুরা ভয়ে কেঁপে ওঠে। ভারত যে শক্তির প্রতীক, তা বিশ্ব দেখছে।"
সেনাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আজ ভারত নিজের যুদ্ধবিমান ও সাবমেরিন তৈরি করছে, যা একসময় আমদানি করা হত। বর্তমানে ভারত অনেক দেশের কাছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করছে, যা আত্মনির্ভর ভারতের এক উদাহরণ।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশের সীমান্ত রক্ষায় সরকার যে এক ইঞ্চিও ছাড় দিতে রাজি নয়, সেই সংকল্পের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা শত্রুর কথায় নয়, আমাদের সেনাদের সংকল্পে আস্থা রাখি। এ কারণে আমাদের নীতিও সেনাদের নির্দেশিত পথ অনুসরণে প্রণীত হয়েছে।”
এভাবেই দীপাবলির সন্ধ্যায় কচ্ছে সেনাদের সঙ্গে মিশে প্রধানমন্ত্রী তাদের সাহসিকতাকে সম্মান জানালেন এবং দেশের প্রতি তাদের যে দায়িত্ব তা উৎসাহ ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তুলে ধরলেন।