প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে আজ, শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক (Niti Aayog Meeting) হতে চলেছে। কিন্তু সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন না। শুধু তাই নয়, বৈঠকে যোগ দেবেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন এবং দিল্লি ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ভগবত মান।
একটি বিবৃতিতে নীতি আয়োগ বলেছে, "দিনব্যাপী বৈঠকে আটটি বিশিষ্ট থিম নিয়ে আলোচনা করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে Viksit Bharat@2047, MSMEs, পরিকাঠামো এবং বিনিয়োগের উপর জোর দেওয়া, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং গতি। এলাকার উন্নয়ন এবং সামাজিক পরিকাঠামোর জন্য শক্তি।"
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাঁর চিঠিতে অভিযোগ করেছেন যে, দেশের অ-বিজেপি সরকারগুলি অর্থের ব্যবহার বা ইডি এবং সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির হুমকির মাধ্যমে তাদের বিধায়কদের দলত্যাগের আয়োজন করে পতন করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, এই ধরনের পদক্ষেপ দেশে সমবায় ফেডারেলিজমকে উৎসাহিত করেছে কিনা। "গত কয়েক বছরে গণতন্ত্রকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, অ-বিজেপি সরকারগুলিকে পতন করা হয়েছে এবং কাজ করা বন্ধ করা হয়েছে, এটি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বা সমবায় ফেডারেলিজম নয়," তিনি অভিযোগ করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় বৈঠকে অংশ নেওয়ার অনুমতি মেলেনি বাংলার অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। প্রশাসনিক মহলের মতে, স্মরণকালের মধ্যে এতজন মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আয়োগের বৈঠকে না থাকার নজির নেই। এর পিছনে তাৎক্ষণিক কারণ ভিন্ন হলেও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নীতি আয়োগের বৈঠকের বিষয় এবং আলোচনার পদ্ধতি নিয়ে গুরুতর আপত্তি আছে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাবদ মোদী সরকার অবিজেপি রাজ্যগুলির প্রাপ্য আটকে দিয়েছে নানা অভিযোগ তুলে। রাজ্য সরকারগুলিতে সাজা দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রকল্পগুলি কথা হলেও টাকা আটকে দেওয়ার কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে নীতি আয়োগের কিছুই করণীয় নেই। সেই বৈঠকে গিয়ে এ নিয়ে বিলাপ করে লাভ হয় না।
কংগ্রেস শাসিত চার রাজ্য রাজস্থান, ছত্তীশগড়, হিনাচলপ্রদেশ এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীরা শনিবারের বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে দলীয় সূত্রের খবর, নীতি আয়োগ বৈঠক শেষে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সরব হওয়ার কথা।