PM Narendra Modi: 'গরিবের কথা তো বোরিংই লাগবে,' রাহুল-সনিয়াদের মন্তব্যে ঠিক কী কটাক্ষ মোদীর?

লোকসভায় রাষ্ট্রপতির জবাবি ভাষণের শুরুতেই কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। রাহুল গান্ধীর ঝুপড়িতে গিয়ে ঝুপড়িবাসীদের সঙ্গে ছবি তোলাকে 'দরিদ্রদের সঙ্গে ফটো সেশন' বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, সনিয়া গান্ধী শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের আগে সংসদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পরে তাঁকে 'পুওর লেডি' মন্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। সেই প্রসঙ্গে টেনে আজকের জবাবি ভাষণে দেশের দারিদ্র দূরীকরণে বিজেপির ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।

Advertisement
'গরিবের কথা তো বোরিংই লাগবে,' রাহুল-সনিয়াদের মন্তব্যে ঠিক কী কটাক্ষ মোদীর?প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী- সনিয়া গান্ধী

লোকসভায় রাষ্ট্রপতির জবাবি ভাষণের শুরুতেই কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। রাহুল গান্ধীর ঝুপড়িতে গিয়ে ঝুপড়িবাসীদের সঙ্গে ছবি তোলাকে 'দরিদ্রদের সঙ্গে ফটো সেশন' বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, সনিয়া গান্ধী শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের আগে সংসদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের পরে তাঁকে 'পুওর লেডি' মন্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। সেই প্রসঙ্গে টেনে আজকের জবাবি ভাষণে দেশের দারিদ্র দূরীকরণে বিজেপির ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি। যদিও 'পুওর লেডি' মন্তব্যে পরে সনিয়া গান্ধী বিবৃতি দিয়ে জানান, রাষ্ট্রপতির জন্য এই শব্দটি ব্যবহার করার কারণ ছিল ভাষণটি খুব বিরক্তিকর ছিল। এই মন্তব্য টেনে মোদী বলেন, "যাঁরা দরিদ্রদের ঝুপড়িতে গিয়ে ফটো সেশন করেন তাঁদের গরিবদের কথা বোরিংই লাগবে।" কার্যত, একসাথে দুই তির মারলেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিশানা করে দারিদ্র দূরীকরণে তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোদী সরকার গরিবির মিথ্যে স্লোগান দেয়নি, আদতে তা দূর করেছে। তিনি বলেন, "আমরা ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানিয়ে মা-বোনদের সমস্যা দূর করেছি। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছানো। "

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "কিছু নেতা তাদের বাড়ির আড়ম্বরপূর্ণ বাথরুমের (জাকুজ়ি) দিকে মনোনিবেশ করেছেন। আমাদের ফোকাস প্রতিটি বাড়িতে কলের জল সরবরাহ করা। ১২ কোটি মানুষকে কলের জল দিয়েছেন। আমাদের মনোযোগ দরিদ্রদের জন্য বাড়ি তৈরি করা। যারা গরিবদের কুঁড়েঘরে ফটো সেশনের আয়োজন করেন তাদের গরিবদের সঙ্গে কথা বলতে বিরক্তিকর লাগে। এটি সনাক্ত করে সমস্যাকে উপেক্ষা করতে পারবেন না। সমস্যার সমাধানও করতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টা হল সমস্যা সমাধান করা, যা আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে চেষ্টা করি। আমাদের দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, তাঁকে মিস্টার ক্লিন বলাটাই ফ্যাশন হয়ে গেছে।"

তাঁর দাবি, 'মিস্টার ক্লিন' একটি সমস্যা চিহ্নিত করেছিলেন। বলেছিলেন, ১ টাকা বেরোলে গ্রামে ১৫ পয়সা পৌঁছয়। ওই সময়ে পঞ্চায়েত থেকে পার্লামেন্টে একটাই দল ছিল। খুব ভালো হাত সাফাই ছিল। ১৫ পয়সা কার কাছে যেত তা দেশের সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারে। আমরা সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমাদের লক্ষ্য বাঁচাবও, বিকাশও করব। জনতার টাকা, জনতার জন্য।" প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনধন, আঁধার, মোবাইলের জেম ডিবিটির কথা। যাতে ৪০ কোটি টাকা সরাসরি জনতা জনার্দনের কাছে পৌঁছে গেছে। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement