নাগপুর সফরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর 'স্মৃতি মন্দিরে' হাতেলেখা বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার এবং দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক এম এস গোলওয়ালকরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
হিন্দিতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘আমি শ্রদ্ধেয় ডঃ হেডগেওয়ারজি এবং সম্মানীয় গুরুজিদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। এই স্মৃতি মন্দিরে এসে আবেগে আপ্লুত হয়েছি। এই পবিত্র স্থানে এসে তাঁদের স্মৃতিরক্ষার সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি, জাতীয়তাবাদ এবং ঐক্যের মূর্ত প্রতীক এই পবিত্র স্থান। এটি আমাদের জাতির সেবায় এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দেয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই স্থানের সঙ্গে যুক্ত মহান ব্যক্তিদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা লক্ষ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।’
শেষে মোদী লেখেন, ‘ভারত মাতার গৌরব আমাদের প্রচেষ্টায় চিরকাল অটুট থাকুক।’
আরএসএসের প্রতিপদা অনুষ্ঠানে পিএম মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরের মূল কারণই হল আরএসএসের প্রতিপদা কর্মসূচি। গুড়ি পড়ওয়া উৎসব এবং হিন্দু নববর্ষের সূচনা লগ্নে এটি পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্মৃতি মন্দিরে ছিলেন সংঘের প্রধান মোহন ভগবতও।
নাগপুরে পিএম মোদীর কর্মসূচি
নাগপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তিনি মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এটি মাধব নেত্রালয় আই ইনস্টিটিউট এবং রিসার্চ সেন্টারের অংশ। এই প্রকল্পে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, ১৪টি আউটপেশেন্ট বিভাগ (ওপিডি) এবং ১৪টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার থাকবে।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী ‘সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস লিমিটেড’-এর গোলাবারুদ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি ১,২৫০ মিটার লম্বা এবং ২৫ মিটার চওড়া নতুন এয়ারস্ট্রিপের উদ্বোধন করেন। এটি মূলত ড্রোন এবং ইউএভি (Unmanned Aerial Vehicles)-র জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, লাইভ মিউনিশন এবং ওয়ারহেড টেস্টিং ফেসিলিটিরও উদ্বোধন করেন।
ছত্তিশগড় সফর
নাগপুর সফরের পর প্রধানমন্ত্রী আজ ছত্তিশগড়ে যাবেন। সেখানে তিনি বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস, রেল, সড়ক, শিক্ষা এবং আবাসন সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। প্রকল্পগুলির মোট ব্যয় ৩৩,৭০০ কোটি টাকারও বেশি।