scorecardresearch
 

মোদীর গিফট! যোগ দিবস থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে গোটা দেশে ফ্রি ভ্যাকসিন

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়, বিকেল ৫টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন মোদী।

Advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
হাইলাইটস
  • ফ্রি রেশন নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ল
  • টিকাকরণ ২৫ শতাংশ রাজ্যের ছিল
  • ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ফ্রি ভ্যাকসিন

ভ্যাকসিন নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২১ জুন অর্থাত্‍ যোগ দিবস থেকেই গোটা দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে ফ্রি ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যকে ফ্রি-তে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৩৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৯ হাজার ৯৭৫। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪২৭ জনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ লাইভ জানতে ক্লিক করুন।

যারা টিকা নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন, তারা মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন

যারা ভ্যাকসিন নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন, তারা জীবন নিয়ে খেলা করছেন মানুষের। এদের থেকে সতর্ক থাকুন। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, টিকা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে যুব সম্প্রদায় এগিয়ে আসুন। করোনা এখনও যায়নি। আমাদের সাবধান থেকে করোনা থেকে বাঁচতে নিয়ম পালন করতে হবে। আমার বিশ্বাস, আমরা করোনা থেকে জিতবই। 

 

ফ্রি রেশন নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ল

আগের বছরে যখন করোনার জন্য লকডাউন শুরু করা হয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী অন্ন যোজনায় ৮০ কোটি মানুষের ফ্রি রেশন ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছিল। এবছরও দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনাকে আরও বাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত ৮০ কোটির বেশি দেশবাসীকে প্রতিমাসে ফ্রি-তে রেশন দেওয়া হবে। যাতে কোনও গরিব মানুষ না খেয়ে থাকেন। 

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ফ্রি ভ্যাকসিন

মে মাসের প্রথম দিক থেকে কিছু রাজ্যে বলতে শুরু করে, আগের নিয়মই ঠিক ছিল। রাজ্যের উপরে ভ্যাকসিনের কাজ ছাড়া ঠিক হয়নি। আজ নির্ণয় নেওয়া হয়েছে, রাজ্যের ২৫ শতাংশও এবার ভারত সরকারের। এই ব্যবস্থা আগামী ২ সপ্তাহেই লাগু করা হবে। এই দুসপ্তাহে কেন্দ্র ও রাজ্য মিলে নয়া গাইডলাইন তৈরি করবে। ২১ জুন, সোমবার থেকে দেশের প্রতিটি রাজ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিকের জন্য ভারত সরকার রাজ্যগুলিকে ফ্রি ভ্যাকসিন দেবে। কোনও রাজ্য সরকারকে ভ্যাকসিনের জন্য কোনও খরচ করতে হবে না।

Advertisement

 

টিকাকরণ ২৫ শতাংশ রাজ্যের ছিল

ভারত টিকাকরণের ক্ষেত্রে রাজ্যের জন্য গাইডলাইন বানিয়েছে। এই বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল-মে পর্যন্ত ভারতের টিকাকরণ মূলত কেন্দ্রের দেখভালেই চলছিল। সবাইকে ফ্রি ভ্যাকসিন দেওয়ায় দেশ এগিয়ে চলেছে। অনেক রাজ্য বলে, টিকাকরণ রাজ্যের উপরে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিছু লোক প্রশ্ন তোলে, আগে কেন বয়স্কদের ভ্যাকসিন। আমরা রাজ্য়ের নানা দাবি মেনে, আমরা কিছু গাইডলাইনে বদল ঘটিয়েছি।

আরও তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে

তিনটি আরও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। ভ্যাকসিন বাড়াতে অন্য দেশের সংস্থার থেকেও ভ্যাকসিন কেনার প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে চলছে। শিশুদের টিকা দিতে দুটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দ্রুত চলছে। এছাড়া একটি নেজাল ভ্যাকসিনের পরীক্ষাও চলছে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা দুটি কোভিড টিকা আবিষ্কার করেছেন। এত কম সময়ে টিকা তৈরি মানবতার কাছে বিরাট উপলব্ধি। কিন্তু ভ্যাকসিন তৈরির পরেও দুনিয়ার অনেক কম দেশেই টিকাকারণ শুরু হয়। 

এত বড় মহামারি বিশ্ব দেখেনি, ১০০ বছরে সবচেয়ে বড় মহামারি

এত বড় মহামারি দেখেনি বিশ্ব এর আগে। ভারতে ভেন্টিলেটর বানানো থেকে শুরু করে ভারতে একটি নতুন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভারতের ইতিহাসে এতমাত্রায় মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রয়োজন অতীতে হয়নি। যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় কাজ করা হয়েছে এই সমস্যা মেটাতে। 

 

আমাদের কাছে ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন না থাকলে বিপদ হত

বিদেশ থেকে টিকা পেতে ১০ বছর লেগে যেত। ভারতে ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে বলে উপকার হয়েছে। এর আগে একাধিক ভ্যাকসিনের জন্য দেশবাসীকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হত। ভারতে ২০১৪ সালে মাত্র ৬০ শতাংশের কাছাকাছি ভ্যাকসিন তৈরি হত। আমরা এই সমস্যার সমাধান করেছি মিশন ইন্দ্রধনুষের মাধ্যমে। মাত্র ৭ বছরে ভারতে টিকাকরণ ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০০ শতাংশ হয়েছে।

 

নীতি স্পষ্ট ও পরিশ্রমে ফল মেলে

বিশ্ব ভেবেছিল, ভারত কী ভাবে সামলাবে করোনা পরিস্থিতি। এত জনসংখ্যা। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা দেখিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বের বড় বড় দেশের মতোই ভারতও পারে টিকা তৈরি করতে। কোভিড ভ্যাকসিন হল রক্ষা কবচ। আমাদের বিজ্ঞানীরা কম সময়ে টিকা তৈরি করতে পারবেন, আমাদের বিশ্বাস ছিল। 

 

Advertisement