Akhaura-Agartala Rail Link: ট্রেনে কলকাতা থেকে ত্রিপুরা ১০ ঘণ্টায়, নয়া রেলপথের সূচনায় মোদী-হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশকে সংযোগকারী দুটি রেল প্রকল্প এবং একটি মেগা পাওয়ার প্ল্যান্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Advertisement
ট্রেনে কলকাতা থেকে ত্রিপুরা ১০ ঘণ্টায়, নয়া রেলপথের সূচনায় মোদী-হাসিনাআগরতলা থেকে আখাউড়া রেলপথের সূচনা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশকে সংযোগকারী দুটি রেল প্রকল্প এবং একটি মেগা পাওয়ার প্ল্যান্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

PMO  সূত্রে জানা গেছে, উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী আখাউড়া-আগরতলা ক্রস-বর্ডার রেল সংযোগ, মংলা বন্দর রেল লাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের ইউনিট-২ উদ্বোধন করবেন।

তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে জেনে নিন...

  • আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ ভারত সরকার বাংলাদেশকে দেওয়া ৩৯২.৫২ কোটি টাকা অনুদানে নির্মিত হয়েছে। এটি ১২.২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। বাংলাদেশে এর দৈর্ঘ্য ৬.৭৮ কিমি। যেখানে ভারতের ত্রিপুরায় তা ৫.৪৬ কিমি।
  • খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের রেয়াতি ঋণ সুবিধার অধীনে ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্মিত হয়েছে। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর এবং খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণের কাজ জড়িত। প্রকল্পটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মংলাকেও ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
  • মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের জন্য ভারত বাংলাদেশকে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। এ ঋণ থেকেই এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে। উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এর প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন করেছিলেন।

 কম খরচে পণ্য আমদানি-রফতানি
প্রসঙ্গত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ শুরু হলে এতে  পণ্য পরিবহণ খরচ কম হওয়ায় দুই দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।  ইতঃপূর্বে ওই রুটে একাধিকবার পরীক্ষামূলক মালবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হয়েছে। উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যেই এ পথে পুরোদমে মালবাহী ট্রেন চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে দুদেশের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে।

খুব সহজেই আগরতলা থেকে ট্রেনে কলকাতা সফর
ট্রেনে ত্রিপুরার রাজধানী  আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার, যা পাড়ি দিতে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে  বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে রেলপথে ত্রিপুরা- কলকাতা যাতায়াতে দূরত্ব ও সময় উভয়ই কমবে। কলকাতা যেতে মাত্র ১০ ঘণ্টা সময় লাগবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ট্রেনে যে কোনো পণ্য আগরতলা হয়ে ভারতের যে কোনো রাজ্যে পৌঁছানো যাবে। একইভাবে ভারতের পণ্যবাহী ট্রেন আগরতলা হয়ে আখাউড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ হবে। 

POST A COMMENT
Advertisement