চলছে শ্রাবণ মাস। জল্পেশ মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১০ জনের। কোচবিহারে শটসার্কিটে মৃত সেই ১০ জনের পারিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী জানান, জল্পেশে শর্টসার্কিটে মৃত পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে অনুদান দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের শীতলকুচিতে একটি ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় আমি ব্যথিত। শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। পিএমএনআরএফ থেকে মৃতদের নিকটাত্মীয়দের ২ লক্ষ টাকা করে এক্স-গ্রাশিয়া দেওয়া হবে। আর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”
An ex-gratia of Rs. 2 lakh each, from PMNRF, would be given to the next of kin of the deceased. Rs. 50,000 would be given to the injured: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) August 2, 2022
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফেও মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এদিন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। মঞ্চে আর্থিক সাহায্য নিতে গিয়ে মন্ত্রীর সামনে কেঁদে ফেলেন মৃতদের বাবা মায়েরা। এ বিষয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি এসেছেন। পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই। কিছুটা আর্থিক সাহায্য করা হল সরকারের তরফে। প্রশাসনের জন্যই মানুষ রক্ষা পেয়েছে। সময় মত পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে তাঁদের আরও অনেক কিছু হারাতে হতো। প্রশাসন সর্বদাই সতর্ক রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত রবিবার, গভীর রাতে শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবার উপলক্ষে ভগবান শিবের মাথায় জল ঢালতে কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে জল্পেশ্বর মন্দিরে যাচ্ছিলেন ২৫ জন পুর্ণ্যার্থীর একটি দল। গাড়ির ভিতর জেনারেটরের সাহায্যে ডিজে বাজান হচ্ছিল। বৃষ্টির রাতে ওই জেনারেটরে শর্ট সার্কিট হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। বর্তমানে দুর্ঘটনায় আহত ১৬ জনের চিকিৎসা চলছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।