বগটুই-কাণ্ড উচ্চারণ করলেন না। তবে রাজনৈতিক হিংসার বিরোধিতার কথা বলে বুঝিয়ে দিলেন। যেটা হামেশাই করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ইশারাই কাফি! মঙ্গলবার হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে উপলক্ষে মতুয়া মেলায় তিনি বলেন,'স্বার্থের জন্য খুনখারাপি হতে দেখছি। সমাজে বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাষা ও অঞ্চলের ভিত্তিতে বিভেদের প্রবৃতি দেখা যাচ্ছে এখন। এই সময় শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনদর্শন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তাই এই মেলা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের মূল্যবোধকে আরও দৃঢ় করবে।'
রাজনীতিতে হিংসা গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'রাজনৈতিক সভাসমাবেশে যোগদান করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধিতাক কারণে ভয় দেখিয়ে কেউ বাধা দিলে সেটা অন্যের অধিকার হরণ। এজন্য এটাও আমাদের কর্তব্য, হিংসা ও অরাজকতার মানসিকতার বিরোধ করা উচিত।'
ভারতের সংস্কৃতিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের অবদানের কথাও তুলে ধরেন মোদী। তিনি জানান,'আমাদের সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে মহান বলি। কারণ এটা প্রবাহমান। এর কৃতিত্ব হরিচাঁদ ঠাকুরের মতো মানুষদের। তাঁরা সমাজ সংস্কার করেছেন। লিঙ্গ নিরপেক্ষতার কথা বলছে দুনিয়া। অষ্টাদশ শতকেই নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন হরিচাঁদ ঠাকুর। মেয়েদের জন্য স্কুল খুলেছেন। এতেই স্পষ্ট হয় ওঁর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল। ভারতের উন্নয়নে মতুয়া সমাজেরও ভাগ রয়েছে।'
আরও পড়ুন- কংগ্রেসেই প্রশান্ত? ২০২৪-এ ৫০% ফর্মুলায় মোদীকে হারানোর ছক