scorecardresearch
 

Narendra Modi: 'সন্দেশখালিতে যা ঘটেছে, তাতে গোটা দেশ কষ্ট পাচ্ছে,' খোলা ময়দানেই মুখ খুললেন মোদী

সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, আজ সন্দেশখালিতে যে নারী নির্যাতন হয়েছে, তা দেখে নারী আন্দোলনের পুরোধা রামমোহন রায়ও কষ্ট পাবেন। মোদী সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার ডাক দেন আরামবাগের দলীয় সভা থেকে।

Advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
  • তিনি বলেন, আজ সন্দেশখালিতে যে নারী নির্যাতন হয়েছে, তা দেখে নারী আন্দোলনের পুরোধা রামমোহন রায়ও কষ্ট পাবেন।

সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, আজ সন্দেশখালিতে যে নারী নির্যাতন হয়েছে, তা দেখে নারী আন্দোলনের পুরোধা রামমোহন রায়ও কষ্ট পাবেন। মোদী সন্দেশখালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার ডাক দেন আরামবাগের দলীয় সভা থেকে। বলেন, 'সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা করেছে, যা দেখে গোটা দেশ দুঃখিত। রাজা রামমোহনের আত্মা আজ যেখানেই থাকুন, দুঃখ পাবেন। ওঁর আত্মা আজ কাঁদছে।' 

আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'তৃণমূলের নেতারা সন্দেশখালিতে বোন-মেয়েদের সঙ্গে দুঃসাহস করেছে। সমস্ত সীমারেখা পার করা হয়েছে। মহিলারা আওয়াজ তুলেছে, মমতা দিদির কাছে সাহায্য চেয়েও মেলেনি। তিনি সেখানকার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি লাগিয়ে দিয়েছে।'

প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালি নিয়ে দাবি করেন, বিজেপি নেতারা রাত-দিন লড়েছে। মা-বোনেদের সম্মানের জন্য। বিজেপির চাপেই গতকাল পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন,  'তৃণমূলের রাজত্বে তৃণমূলের নেতা দু'মাস বেপাত্তা ছিল। কেউ তো তাকে বাঁচিয়েছে।' এরপরই প্রধানমন্ত্রী জনসভায় প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। বলেন, 'এরকম তৃণমূলকে মাফ করবেন। মা-বোনের সঙ্গে যা হয়েছে, তার বদলা নেবেন কি নেবেন না। আজ বাংলার জনতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইছে। লজ্জা লাগা দরকার। আমার সবথেকে খারাপ ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের দেখে লাগে। ওই নেতারা সন্দেশখালির কাণ্ডে চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে বসে আছেন। পাটনা, মুম্বই, ব্যাঙ্গালুরুতে বৈঠক করেন। কিন্তু তাঁরা এখাকার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাওয়ার সাহস করতে পারেননি। সন্দেশখালিতে একবার দেখতেও যায়নি। কংগ্রেসের রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ বলেছেন, আরে ছাড়ো বাংলায় তো এসব চলতেই থাকে। এটা বাংলার অপমান কী না বলুন। বলুন বাংলার মহান সাংস্কৃতিক পরম্পরার অপমান কী না বলুন।' 

আরও পড়ুন

এরপরই ইন্ডিয়া জোটকে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর কথায়, 'ইন্ডিয়া জোট পরিবারবাদ, দুর্নীতিবাদ আর স্বজনপোষনের জন্যই তৈরি হয়েছে। ওদের ওটাই কাজ। তৃণমূল বাংলায় অপরাধ আর দুর্নীতির নতুন মোড়ক তৈরি করেছে। তৃণমূল প্রাইমারি টিচার ভর্তিতে দুর্নীতি করেছে। পুরসভার চাকরিতেও দুর্নীতি করেছে। সরকারি জিনিস কেনার বিষয়েও দুর্নীতি করেছে। চিটফাণ্ড, বর্ডারে পশু পাচার, কোনও ক্ষেত্রই ছাড়েনি। তৃণমূলের মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে নোটের পাহাড় বেরোয়। কী করছে এরা। এখানকার সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রুখছে। এখানকার মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিবাজকে বাঁচাতে ধর্নায় বসে যান।'
 

Advertisement

 

Advertisement