১৯৪৭ সালে দেশভাগ কেবল দু'টি ভূমির বিভাজন নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ও ভাগ হয়ে যায়। নিজেদের ঘরবাড়ি, প্রিয়জনদের হারান দুই দেশের অসংখ্য মানুষ। রক্তে ভেজা রেলপথ, প্রাণহীন দেহে ভরা ট্রেন এবং অশ্রুসিক্ত, শোকাহত মুখগুলি মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র। এই যন্ত্রণা স্মরণ করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সতর্ক করতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৪ অগাস্টকে 'বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
'বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস'-এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমাদের অবশ্যই যেকোনও মূল্যে ঐক্য, ভালোবাসা এবং মানবতা রক্ষা করতে হবে।" সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "আমাদের ইতিহাসের এক মর্মান্তিক অধ্যায়ে অগণিত মানুষের অশান্তি এবং যন্ত্রণার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আজ ভারত বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালন করছে। এটি তাদের সাহস, অকল্পনীয় ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ার এবং নতুন করে শুরু করার শক্তি খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতাকে সম্মান জানানোরও একটি দিন।"
তিনি আরও বলেন, এই ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ পুনরায় তাদের জীবন শুরু করেছেন। মহান কিছু অর্জন করেছেন। এই দিনটি আমাদের দেশকে একত্রিত করে এমন সম্প্রীতির বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেয়।
'অনেক শিক্ষা নেওয়া যায়...'
বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেন, "এই ভয়াবহ ট্র্যাজেডি সহ্য করা ব্যক্তিদের ধৈর্যকে কুর্নিশ করি। এই বেদনাদায়ক অধ্যায় থেকে অনেক শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, "আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যারা, এই অর্থহীন দেশভাগের পর সংঘটিত ব্যাপকৃ হিংসা এবং ভয়াবহ গণহত্যায় যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমার বাবা-মা সহ যারা অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন তাদেরও।" তিনি এও বলেন, দেশভাগের ভয়াবহতা আগামী প্রজন্ম সবসময় মনে রাখবে।