গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৬২ কোটি টাকা। তার মধ্যে শুধুমাত্র ২০২৫ সালেই এখনও পর্যন্ত পাঁচটি দেশে সফরে খরচ হয়েছে ৬৭ কোটি টাকারও বেশি। রাজ্যসভায় এমনই তথ্য দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ। প্রধানমন্ত্রীর সফরে কত খরচ, সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর প্রশ্নের উত্তরেই এই তথ্য দেন কীর্তি বর্ধন সিংহ। ২০২৫ সালে ফ্রান্স সফরেই সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে। সেদেশে যেতে খরচ হয়েছে ২৫ কোটি টাকারও বেশি। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে খরচ হয় ১৬ কোটিরও বেশি। এছাড়াও মরিশাস, সাইপ্রাস ও কানাডা সফরেও বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে। তবে তার হিসেব এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালে ১৬টি দেশে সফরে খরচ হয়েছে ১০৯ কোটি টাকা। সফরের তালিকায় ছিল রাশিয়া এবং ইউক্রেন।
২০২৩ সালে খরচ হয় ৯৩ কোটি টাকা।
২০২২ সালে খরচ হয়েছিল ৫৫.৮২ কোটি টাকা, আর ২০২১ সালে খরচ হয়েছিল ৩৬ কোটি টাকা।
২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সেই সফরের খরচ ছিল ২২ কোটি টাকারও বেশি। সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ, ইতালি এবং ব্রিটেন সফর করেন। সে বছর শুধুমাত্র মার্কিন মুলুকের সফরেই খরচ হয় ১৯ কোটি টাকারও বেশি।
২০২২ সালে জার্মানি ও জাপান সফরেও বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়। এই দুই দেশের সফরে খরচ হয়েছে যথাক্রমে ৯ কোটি ও ৮ কোটি টাকা।
এই সমস্ত সফরেই পাবলিক রিলেশন, বিজ্ঞাপন এবং সম্প্রচারের পিছনেও খরচ হয়েছে। সেগুলিও হিসাবের মধ্যে ধরা হয়েছে। সেই অঙ্কও মোটেও কম নয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের মিশর সফরে বিজ্ঞাপন খাতে ১১.৯০ লক্ষ টাকা খরচ হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘন ঘন আন্তর্জাতিক সফর যে তাঁর বিদেশ নীতির বড় অংশ, তা স্পষ্ট। তবে বিদেশ সফরের অর্থনৈতিক দিকগুলি নিয়ে ফের একবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।