পহেলগাঁওে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে কবে প্রত্যাঘাত দেবে ভারত? এই নিয়ে জল্পনা চলছে নানা মহলে। এই আবহে বদলা নিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কখন, কোথায়, কীভাবে প্রত্যাঘাত করা হবে, তা ঠিক করবে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার ফের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে যোগ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহ্বান। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই প্রত্যাঘাতের জন্য সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যা উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেওয়াই তাঁর জাতীয় সঙ্কল্প বলে জানিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনা বাহিনীর দক্ষতার উপর যে তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, সে কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যাঘাতের বিষয়ে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। কোন সময়, কী টার্গেটে প্রত্যাঘাত, তা ঠিক করার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা সেনাকে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগেও, মোদীর সঙ্গে রাজনাথের বৈঠক হয়েছিল সোমবার। মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসেন তাঁরা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। বদলার রব উঠেছে সর্বত্র। কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জন জঙ্গির বাড়ি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ভারত-পাক সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাগুলির খবর পাওয়া গিয়েছে। জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। কঠোরতম পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, কল্পনাতীত শাস্তি দেওয়া হবে।